
জন্মভূমি রিপোর্ট : কয়রা উপজেলার উলা গ্রামে শুক্রবার দুপুরে শহিদুল গাজী (৪৫) পারিবারিক বিরোধের জেরে তার স্ত্রী তাসলিমা খাতুনকে মারপিট করছিল। নির্যাতিতার আর্তচিৎকারে হামলাকারীর ছোট ভাই সাহেব আলী গাজী (৩৬) ছুটে এসে তার ভাবীকে উদ্ধার করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শহিদুল তার ভাই সাহেব আলীকে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। মুহূর্তই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং অচেতন হয়ে যান। ঘাতক তখন বটি দিয়ে তাকে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি শহিদুলকে শুক্রবার রাতে উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের বারোপোতা গ্রাম হতে গ্রেফতার করা হয়। তার হেফাজত হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত শাবল এবং বটিটি জব্দ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, কয়রায় সোপর্দ করা হয়। পরবর্তীতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিএম ইমদাদুল হক দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, আসামি আদালতে অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দী দেয়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তাকে রিমাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়নি।