জন্মভূমি ডেস্ক : খুলনার কয়রায় জোড়শিং এলাকার বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে এক বছর আগে এ অংশের কাজ সংস্কার করা হয়।বছর না যেতে বাঁধে ফাটল ও ধসে যাওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন ও শঙ্কা বিরাজ করছে।
স্হানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে,গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে উপজেলার শাকবাড়ীয়া নদীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধের ১৪/১ নম্বর পোল্ডারের ১০০ মিটার অংশে ছোট বড় অনেক গুলো ফাটল ও ধস দেখা দিয়েছে।জোড়শিং এলাকার ব্রোজেন মন্ডলের বাড়ীর সামনের অংশটুকু বেশী ঝুকিতে রয়েছে।ফলে ভাঙন হুমকিতে পড়েছে বাঁধসংলগ্ন জোড়শিং, আংটিহারা, গোলখালি,বিনাপানি গ্রামসহ দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এ ছাড়া ভাঙনরোধে অবিলম্বে পাউবোর পক্ষ থেকে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে প্রায় দুই হাজার একর আমনের খেতসহ অসংখ্য মাছের ঘের নদীর লোনাপানিতে ডুবে যাওয়ায় আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।
আজ সকালে বেড়িবাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাঁধের নদীর সাইডে তলদেশ থেকে ভাঙন দেখা দিয়েছে।বৃষ্টির কারণে অনেক গুলো ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে।এবং কয়েকটি ফাটল অংশের মাটি নদী গর্ভে বিলিন হতে দেখা গেছে।
জোড়শিং গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ কুমার মন্ডল বলেন,বাঁধ সংস্কার কাজ সঠিকভাবে না হওয়ায় বৃষ্টির কারণে ফাটল ও ধস দেখা দিয়েছে।এখন নদীতে জোয়ার যে কোন মূহুর্তে বাঁধ ভেঙে যেতে পারে।জরুরীভিত্তিতে বাঁধে কাজ করা না হলে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের মানুষের আবারও পানিতে ডুবতে হবে।
দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল বলেন,খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাঙনকবলিত স্থানে গিয়েছিলাম, বিষয়টি পাউবোর কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।কিন্তু এখনো পর্যন্ত পানি উন্নয় বোর্ড ঘটনা স্হালে আসেনি।
খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিভাগ-২) নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম বলেন,জোড়শিং এলাকার খবর পেয়েছি। দ্রতু সময়ের মধ্য ব্যবস্হা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।