শেখ সিরাজউদ্দৌলা লিংকন, কয়রা : কয়রার লালুয়া বাগালি মোশারফ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়ম বহির্ভুতভাবে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক সহকারী প্রধান শিক্ষক ও নব্যসৃষ্ট অফিস সহায়ক নিরাপত্তা কর্মী ঝাড়ুদার আয়াসহ ৭ জনবল নিয়োগে প্রায় কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ বিতর্কিত কমিটির বিরুদ্ধে আদালতে চলমান মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষক ও জনবল নিয়োগ বন্ধের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা মৃত মোশারফ সানার পুত্র দাতা সদস্য আকরাম হোসেন সানাসহ একাধিক অভিভাবক বাদী হয়ে মহাপরিচালক মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাত জনবল নিয়োগে কোটি টাকা বাণিজ্যে করতে গত ২৫ মে বিদ্যালয়টিতে ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা তৈরি করে বেআইনি একটি পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে বিদ্যালয়টির এডাক কমিটির সভাপতি আলমগীর হোসেনকে সভাপতি করে তড়িঘড়ি ম্যানেজিং কমিটি সম্পন্ন করে। ত্রুটিযুক্ত নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী অভিভাবক মোঃ রাশেদুজ্জামান দিং বাদী হয়ে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ আটজনকে বিবাদী করে বিজ্ঞ কয়রা সিনিয়ার সহকারি জজ আদালত খুলনাতে মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে শোকজ আদেশ প্রদান করলেও আদালতের আদেশ অমান্য করে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আলমগীর হোসেনকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করেন। অতঃপর বিতর্কিত অভিভাবক সদস্যের সমন্বয়ে নবগঠিত কমিটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর কর্তৃক গত ১৭ জুলাই বিতর্কিত কমিটির অনুমোদন দেন। উক্ত কমিটির সদস্যগণ বিধি বহির্ভূতভাবে ঢাকা শহরের চাকরিজীবী জনৈক খাইরুল ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎসাহী সদস্য মনোনীত করে। বিতর্কিত নবগঠিত কমিটির সভাপতি কতিপয় সদস্য আজ্ঞাবাহী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিলে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তড়িঘড়ি করে নিজ পছন্দের লোকবল নিয়োগের লক্ষ্যে প্রায় কোটি টাকা উৎকোচ নিয়ে নিয়োগের পায়তারা করছে। বিতর্কিত কমিটি কর্তৃক উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে অত্র বিদ্যালয়ে লোকবল নিয়োগ করা হলে বিদ্যালয়টির অপূরণীয় ক্ষতি হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাওলানা নুরুল্লাহ বলেন, চাকরি পেতে অনেকেই আবেদন করেছেন কিন্তু কারো কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা নেওয়া হচ্ছে না।
বিদ্যালয়টির নবগঠিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, এই বিদ্যালয় দীর্ঘদিন যাবত ম্যানেজিং কমিটি ছিল না। গত ৮ মাস আগে আদালতের নির্দেশে এ্যাডক কমিটির অনুমোদন দেয়। সে মোতাবেক আমাকে ওই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করা হয় এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এ্যাডাক কমিটি সম্পূর্ণ বৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে আমাকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এ সকল নিয়োগে কোন প্রকার টাকা নেওয়া হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।