এম সাইফুল ইসলাম
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রয়েছে সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ কারণে অনেক শিশুর মধ্যেই আচরণগত পরিবর্তন আসতে পারে। এমন পরিস্থিতি একদিকে যেমন তাদের সঠিক মানসিক বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে অন্যদিকে নিয়মতান্ত্রিক জীবনে অনভ্যস্ত হওয়ার প্রবণতা তৈরি হতে পারে শিশুদের মধ্যে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর পর দফায় দফায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করছে।
খুলনার মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: মোহাম্মাদ হাসান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, অনলাইন ক্লাসের কারণে শিশুদের মোবাইল এবং ইন্টানেটের প্রতি আসক্তি বাড়াতে পারে।
তিনি আরও বলেন, অনেক বাবা-মাই তাদের কাছে আসছেন যারা বলছেন যে, প্রযুক্তি আসক্তি বাড়ছে।
এছাড়াও সন্তানদের মধ্যে আরো অনেক আচরণগত নানা পরিবর্তন লক্ষ্য করার কথা বলছেন বাবা মায়েরা।
খুলনা গ্রীনল্যান্ড বস্তির বাসিন্দা হাফিজা আক্তার বলেন, তার দুই সন্তান স্কুলে পড়ে। করোনা ভাইরাসের কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় সারাক্ষণই বাসায় থাকছে তার সন্তানেরা। আসক্ত হয়ে পড়ছে মোবাইল এবং ইন্টারনেটের প্রতি। মনোযোগ হারাচ্ছে পড়াশুনার ক্ষেত্রেও।
রাশিদা বেগম বলেন, সারাক্ষণই ওদের মাথায় থাকে যে কখন মোবাইলটা নিয়ে গেমস খেলতে বসবে। পড়াশুনার কথা বললে সেখানে কোন কান দেয় না।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় বাসায় বন্দি শহরের শিক্ষার্থীরা। কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করলেও বেশিরভাগগুলোই রয়েছে বন্ধ। যার কারণে অনেকটা ঘরবন্দী রয়েছে শিশুরা।
নগরীর ন্যাশনাল হাই স্কুলের স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী স¦র্নালী আক্তার। স্কুল বন্ধ থাকায় ঘরে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে পড়ছে স্বনালী। দ্রæত স্কুলে ফিরতে সে উদগ্রীব।
দৌলতুন্নেছা কিন্ডারহার্টেনের শিক্ষক দিলারা নাসরিন বলেন, বছর খানেক ধরে বাচ্চারা যদি একটা রুটিনে অভ্যস্ত হয়ে যায়, তারপর যদি আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়, সেখানে কিন্তু তাকে খাপ-খাওয়াতে বেগ পেতে হবে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত