সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পরকীয়ায় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করে তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে প্রেমিকের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম নিজাম উদ্দীন (৪৫)। সে কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালচাতার গ্রামের মৃত ফকির আহম্মেদের ছেলে। নিজামউদ্দীন কাজিরহাট বাজারে বিকাশের এজেন্ট ও মুদি ব্যবসায়ী। গত মঙ্গলবার দিনগত রাত ১টার দিকে উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের কাজিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন দুবাই প্রবাসী আব্দুস সামাদের স্ত্রী কথিত পরকিয়া প্রেমিকা তহমিনা বেগম (৩৮), তার পুত্র সুমন (২১), তাদের প্রতিবেশী প্রবাসীর চাচাতো ভাই আব্দুল মাজেদ (৫০) ও মাজেদের ছেলে মোমিনুল ইসলাম (২০)।
মৃত নিজাম উদ্দীনের ছেলে গোলাম রসুল দাবি করে বলেন, রাতে দোকান থেকে তার বাবা বাড়ি ফিরছিলেন। তার কাছে টাকা ছিল। টাকাগুলো কেড়ে নেয়ার জন্য বাবাকে মারপিট করে হত্যা করা হয়েছে। তবে স্থানীয়রা জানান দীর্ঘ দিন ধরে বিকাশের এজেন্ট নিজাম উদ্দীন ও দুবাই প্রবাসী আব্দুস সামাদের স্ত্রী তহমিনার মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল। রাতে পরকিয়া প্রেমিক ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দীন তার বাড়িতে আটকের পর চড় থাপ্পড় দিলে সে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। দৌঁড়াতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে সে মারা যায়।
আটক মাজেদের কন্যা সাবিনা খাতুন জানান, রাতে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে এক ব্যক্তিকে দেখতে পেয়ে চোর চোর বলে চিৎকার করলে ওই ব্যক্তি দৌড়ে পুকুরের পানিতে পড়ে যান। বাবা-ভাইয়েরা তাকে (নিজাম উদ্দীন) পানি থেকে তুললে দেখেন তিনি মৃত।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা জানান, কাজিরহাট এলাকায় আব্দুস সামাদ একজন দুবাই প্রবাসী। তিনি বিভিন্ন সময় বিকাশের মাধ্যমে তার স্ত্রী তহমিনা বেগমের কাছে টাকা পাঠাতেন। একপর্যায়ের বিকাশের এজেন্ট নিজাম উদ্দীনের সঙ্গে তহমিনা বেগম পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। তিনি আরো জানান, আগে থেকে ফোনে আলাপ করে গত মঙ্গলবার রাতে প্রেমিকার বাড়িতে যান নিজাম উদ্দীন। এ সময় তহমিনা বেগমের ছেলে সুমন তাকে দেখে ফেলে। এরপর সে চোর-চোর বলে চিৎকার দিলে নিজাম উদ্দীন দৌঁড়ে পালিয়ে যান। দৌঁড়ে পালাতে গিয়ে অচেতন হয়ে পড়ে মারা যান তিনি।
কলারোয়ায় পরকীয়ার বলি ব্যবসায়ী
Leave a comment