ডেস্ক রিপোর্ট : নড়াইল সদর উপজেলার আশার আলো কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক বিদ্যুত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে গাইড বিক্রি করে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি এ অভিযোগ তুলেছেন দিকদর্শন প্রকাশনীর নড়াইল জেলার সদ্য সাবেক মার্কেটিং প্রমোশন কর্মকর্তা বিল্লাল হুসাইন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার কাছ থেকে শিক্ষক বিদ্যুত কুমার রায় ১০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। কথা ছিল, বিনিময়ে ওনার কলেজের ইন্টার ১ম ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মাঝে দিকদর্শন প্রকাশনীর ৪০০ পিস গাইড বই বিক্রি করে দেবেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও উনি মাত্র কয়েক পিস বই বিক্রি করান। বই বিক্রি করতে না পারায় ওনাকে দেওয়া ১০ হাজার টাকা আমি ফেরত চাই। কিন্তু উনি টাকা ফেরত না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, বই বিক্রি না হওয়ায় কোম্পানি আমাকে চাকরি থেকে অব্যহতি দিয়েছেন। ওই শিক্ষকের কারণে আমি চাকরি হারিয়েছি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমি চাই, সে যেহেতু বই বিক্রি করতে পারেনি, সেহেতু আমার থেকে নেওয়া টাকা আমাকে ফেরত দিক। এই শিক্ষক সুকৌশলে বিভিন্ন বই, গাইড কম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে টাকা হাতিয়ে নেন।
এদিকে, বই বিক্রির কথা বলে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে শিক্ষক বিদ্যুত কুমার রায় বলেন, আমার কলেজটি প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ায় ধীরে ধীরে বই বিক্রি হচ্ছে। এবছর না পারি সামনে বছর বই চালিয়ে দেবো। কিন্তু টাকা ফেরত দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নাই।
তবে শিক্ষক হয়ে এভাবে গাইড বই বিক্রি করে দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার নিয়ম আছে কি না এমন প্রশ্নে বিদ্যুত কুমার বলেন, এমন নিয়ম নেই৷ আমিও এমন কাজ করি না। ওই গাইড কোম্পানির প্রতিনিধি চাপাচাপি করেছেন, তাই টাকাটা নিয়েছি। আশার আলো মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ লিয়াকত হোসেন বলেন, গাইড বিক্রির কথা বলে টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ওই শিক্ষকের এমন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি অবগত নন।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন বলে জানান।
কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে উৎকোচ গ্রহণসহ প্রতারণার অভিযোগ

Leave a comment