জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনায় এক লাফে কাঁচা মরিচে রিডবল সেন্সুরি করলো। পাইকারি বাজারে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। মাত্র এক সপ্তাহ আগেও এর মূল্য্য ছিল প্রায় অর্ধেক। ঈদুল আযহা এগিয়ে আসার সাথেই দ্বিগুণ মূল্য বেড়ে ৪০০ টাকায় পৌঁছাল। খুচরা বিক্রেতারা জানান, গত দু-তিন দিন ধরে এভাবে কাঁচা ঝালের মূল্য বেড়েই চলেছে। তবে খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের এমন মূল্যবৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে খুলনার কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীরা কিছুই জানেন না। তারা বলছেন, পাইকারী বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে।
খুলনার কাঁচামাল আড়তের ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন জানান, তারা দুদিন ধরেই কাঁচা মরিচ ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় পাইকারি বিক্রি করছেন। এর আগে গত সপ্তাহে ২০০ থেকে আড়াইশো টাকায় বিক্রি করেছেন। সেই কাঁচা মরিচ খুচরা বাজারে ব্যবসায়ীরা ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করছেন। তিনি আরও জানান, পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ ছাড়া সব সবজির দাম এক সপ্তাহ ধরে একই রয়েছে। গত সপ্তাহে শসা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। করোলা গত সপ্তাহে কেজি ৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। এছাড়া চিচিঙ্গা গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও ৩০ টাকা, পটোল ২০ টাকা, পেঁপে এ সপ্তাহেও ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লাউ পিস আকারভেদে ৩০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুন গত সপ্তাহের ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও মঙ্গলবার বিক্রি হয় ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। মিষ্টি কুমড়া এ সপ্তাহেও ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে এসব সবজি খুচরা বাজারে দেড়গুন বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার সকালে নগরীর গল্লামারী এলাকার খুচরা সবজি বিক্রেতা হোসেন আলী বলেন, দুই-তিন দিন ধরে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। দুদিন আগেও পাইকারি ২০০ থেকে ২৪০ টাকায় কিনেছি। এখন সেই কাঁচা মরিচ কিনতে হচ্ছে সাড়ে তিনশো টাকায়। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে কেজি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা করে। এছাড়া অন্য সবজি পটোল ২০ টাকা, পেঁপে ৩৫ টাকা, লাউ ৪০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, করোলা ৭০ টাকা, শসা ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর সন্ধ্যা বাজারে বাজার করতে আসা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন আগে কাঁচা মরিচ কিনেছি ৩০০ টাকায়। এখন সেই কাঁচা মরিচ কিনছি ৪০০ টাকা করে। দাম বাড়লেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস না কিনেতো আর উপায় নেই। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত নজর দেয়া প্রয়োজন।