কাউখালী (পিরোজপুরের) প্রতিনিধিঃ ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের কাউখালীতে অন্তত বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য মতে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রকৃত ক্ষতি আরো বেশি হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উপজেলার ২০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬ টি মাদ্রাসা, একটি কলেজ এবং ১০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপজেলার ৫নং শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের জোলাগাতী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসাটির শ্রেনীকক্ষ সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের খোলা জায়গায় আকাশের নিচে ক্লাস করতে দেখা যায়। আরো বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে এমন দুরবস্থার চিত্র দেখা গেছে। জোলাগাতী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুর রহিম এই প্রতিবেদককে জানান, প্রতিষ্ঠানটি এমনভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে যে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নেয়ার মত কোন জায়গা বাকি নেই। বাধ্য হয়ে খোলা মাঠে,কখনো মসজিদের বারান্দায় ক্লাস নিতে হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলা সদর ইউনিয়নের সপ্তগ্রাম সম্মিলিত ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা,নাঙ্গুলী নেসারিয়া কামিল মাদ্রাসার টিনশেড ও সেমিপাঁকা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালে এসব প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ও আসবাবপত্রেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কাউখালী সদর ইউনিয়ন আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড়ে তাদের প্রতিষ্ঠানের টিনশেড ঘরের ওয়াল ভেঙ্গে আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।যার আনুমানিক মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিবুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়ের তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজল মোল্লা সরেজমিনে অনেক প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পাঠানোর কথা জানান।