কালিয়া প্রতিনিধি : নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় সোমবার বিকালে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিবাহের আয়োজন করা হয়। এ ঘটনায় ঐ স্কুল ছাত্রীর আপন দুই চাচাকে পনের দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার পাঁচগ্রাম ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামে লিবিয়া প্রবাসী আজমান শেখের দশম শ্রেণির ছাত্রীর বাবার বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রদীপ্ত রায় দীপন সেখানে অভিযান চালান। এ সময় বর পক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। তবে কনের বাবা প্রবাসী হওয়ায় তার দুই চাচাকে আটক করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপ্ত রায় দীপনের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁদের পনের দিনের কারাদণ্ড দেন।
উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রদীপ্ত রায় দীপন জন্মভূমিকে বলেন, উপজেলার পাঁচগ্রাম ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের লিবিয়া প্রবাসী আজানুর রহমান শেখের মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত বিয়ে বন্ধ করি। অপ্রাপ্তবয়স্ক কন্যা সন্তানের বাল্যবিবাহে সহযোগিতার জন্য তো কন্যার আপন দুই চাচা হাফিজুর শেখ ও মিজানুর শেখকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর আট ধারা মোতাবেক প্রত্যেককে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কার্য প্রদান করা হয়। তিনি আরো বলেন, উপজেলার যেখানেই বাল্যবিবাহের সংবাদ পাওয়া যাবে, সেখানেই অভিযান চালানো হবে।
পাঁচগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সাইফুল ইসলাম বলেন, এভাবে অভিযান চালিয়ে সাজা দেওয়া হলে বাল্যবিবাহ অনেকাংশে কমে যাবে। একসময় পুরোপুরি বন্ধ হবে।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রতনুজ্জামান বলেন, দণ্ডপ্রাপ্তদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত