নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের কালিয়া উপজেলার আরাজী বাঁশগ্রাম তরুনীর শ্লীলতাহানি ঠেকাতে গিয়ে বাবা, মা ও বোন মারধরের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত শনিবার বিকেলে আরাজী বাঁশগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরাজী বাঁশগ্রামের আবু তালেব বেগ কালিয়া থানায় এজহার দায়ের করেছেন।
সোমবার সরজমিন গিয়ে এবং এজহার সূত্রে জানা যায়, জেলার কালিয়া থানার আরাজী বাঁশগ্রামের আবু তালেব বেগের মেয়ে তরুনী মারিয়ামকে প্রায়ই কু-প্রস্তাব ও উত্যক্ত করতো একই গ্রামের মান্নান ফকিরের ছেলে রিপন ফকির (২৬)। রিপন ফকিরের অভিভাবকদের বার-বার জানিয়ে কোন কাজ হয়নি। বরং ক্ষিপ্ত হয়ে রিপন আরোও বেশি বিরক্ত করতে থাকে। গত শনিবার মারিয়াম বাড়ির পাশে বাগানে জ্বালানি খড়ি আনতে গেলে রিপন তাকে ধরে শ্লীলতাহানি ঘটানোর চেষ্টা করে। এ সময় মারিয়ামের আর্তচিৎকারে তার বাবা, মা ও বোন ছুটে যায়। পাশের লোকজনও সেখানে যায়। তারা রিপনকে ঘটনাস্থলে ধরে ফেলে।
খবর পেয়ে রিপনের পরিবারের লোকজন গিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করলে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় রিপন এবং তার পরিবার ও ঘনিষ্ট জনেরা মারিয়ামের পরিবারের লোকজনদের বেদম মারপিট করে জখম করে আহত রিপন কে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত মারিয়াম এবং তার বাবা,মা ও বোনকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় মারিয়ামের বাবা কালিয়া থানায় এজহার দায়ের করেছেন। আসামীরা হলো-রিপন ফকির (২৬), তার ভাই হাকিমুল ফকির (২০), মৃত তবিবর ফকিরে ছেলে আনতাল ফকির (২৮) এবং মৃত সোনাই ফকিরের ছেলে জহির ফকির (৪০)।
কালিয়া থানার ওসি শেখ তাসমীম আলম বলেন, প্রাথমিক ভাবে যেটা জানা গেছে সেটা হচ্ছে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা। মারামারির সময় শ্লীলতাহানীর ঘটনা বা চেষ্টা হতে পারে। তবে এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থরা জানিয়েছেন আসামীরা থানায় প্রভাব খাটিয়ে মামলা রেকর্ড করতে দিচ্ছেন না। তারা এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।