
ডেস্ক রিপোর্ট : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় ব্লক দিয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যে কারনে রাস্তা নির্মানের ১৬ মাস যেতে না যেতেই রাস্তার ব্লক উঠে যাচ্ছে রাস্তা ধসে পড়ছে। ফলে এ রাস্তা দিয়ে জনসাধারনের চলাচলে মারাত্নক ঝুকি হয়ে দাড়িয়েছে। কাজের শুরু থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পৌরসভার অফিসের যোগসাজশে নিম্নমানের ইউনি ব্লকসহ নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে অনিয়ম করে কাজ করা হয়েছে। রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার ৬ মাসের মাথায় ব্লক সরে গিয়ে চলাচলে অনুপয়োগি হয়ে পড়ছে,পরে মেরামত করে দিলে বিকছুটা চলাচলের উপযোগি হয়। কিন্তু চলতি মাসের প্রবল বর্ষার পানিতে রাস্তার পাশ ধসে পড়ছে।।কালীগঞ্জ ফুট গোডাওনের সামনে থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার ব্লক সড়কের ব্যায় হয়েছে প্রায় কোটি টাকা।
কালীগঞ্জ পৌরসভার এক কিলোমিটার কিলোমিটার রাস্তা চলাচলে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছিল। এতে চলাচলে জনসাধারণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন। এ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করতে ও আধুনিক রাস্তা নির্মাণে এক কিলোমিটার ইউনি ব্লকের রাস্তা নির্মাণের জন্য ২০২৩ সালে বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় কালীগঞ্জ পৌরসভা টেন্ডার আহবান করে।টেন্ডার আহানের পর কাজটি পান ঝিনাইদহের ব্যাপারিপাড়া হান্নান- মিঠু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।কিন্তু কাজটি কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতা কাজটি নিয়ে অতি নিম্নমানের মালামাল ও সিডিউল মোতাবেক না করে ব্যাপক অনিয়ম করেন। ঐ ছাত্রলীগনেতা ছিল কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আশরাফের ব্যবসায়িক পাটনার। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,কাজের শুরু থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিয়ম করে কাজটি করেছে। রাস্তার দুই পাশে রেজিং ব্লক, রাস্তার ইউনি ব্লক গুলো নিম্নমানের। আবার রাস্তার মাঝে মাঝে ভাঙা ব্লক দিয়েছে। রাস্তায় ব্লক দেওয়ার পর রাস্তার দুই সাইডে ফাঁকা রাখা হয়।এছাড়া রাস্তার রেজিংয়ের দুই পাশে অনেক স্থানে মাটি দেওয়া হয়নি। স্থানীয় লোকজন কাজের এসব অনিয়মের বিষয়ে বারবার ঠিকাদারের লোকজনকে বললেও তারা কোনো কর্ণপাত না করে কাজ করেছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে উলটো কাজ বন্ধ রেখে চলে যাওয়ার ভয় দেখিয়েছেন।
সরেজমিন তদন্ত করা হলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে বলে তারা জানান। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজটি শুরু করেন ২৪/৮/২৩ তারিখে এবং শেষ করেন ২৩/২/২৪ তারিখে। এরই মধ্যে রাস্তাটিতে ব্লক উঠে যচ্ছে ও সরে যাচ্ছে।এ নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কাজ করার কারণে অল্পদিনেই ব্লক উঠে গিয়ে রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। চলাচলের অনুপযোগী হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা,রাস্তাটি কালীগঞ্জ হাসপাতালে যাবার প্রধান সড়ক। রক্ষকের সামনেই কিভাবে নিম্নমানের ব্লক ব্যবহার করছে তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। রাস্তার দু,পাশে মাটি দেওয়ার কথা থাকলে ও ঠিকাদার তা না দিয়ে দায় সারা কাজ করেছেন। আবার সড়কের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের ব্লক দেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ স্থানে নিম্নমানের ব্লক দেওয়া হয়েছে। কালীগঞ্জ সরকারি হাসপাতাল,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাওয়ার প্রধান সড়ক ও দিন রাত সর্বসময় ব্যাস্ততম সড়ক। কিন্তু সড়কের সমজিদের সামনে এভাবে ভেঙ্গে যাবার কারনে চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। ঘটতে পারে দূর্ঘটনা।
এ রাস্তার প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয় ৯৩ লক্ষ ৬৭ হাজার ১৭৩ টাকা। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, কাজ বন্ধ হওয়ার ভয়ে ক্ষমতাসীন নেতাদের ভয়ে নিম্নমানের ব্লক,বালি ব্যবহার করলে ও কিছু বলতে পানেনি তারা। তারা মনে করেন ভাল-মন্দ যাই হোক তবুও তো পাকা রাস্তা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে ১৬ মাসের মধ্যে ব্লক রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যাবে তারা কেউ ভাবতে পারেনি। বিশেষ করে কালীগঞ্জ পৌরসভার দায়িত্বশীল ব্যাক্তিরা এসব অনিয়মের সাথে জড়িত থাকায় রাস্তার আজ এই বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে।