
সোহেল আহমেদ, (ঝিনাইদহ) কালিগঞ্জ : সারা বছর নিম্ন ও মধ্য বিত্তের মানুষেরা নিত্য প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ ক্রয় করতে হিমশিম খেয়েছে।লাভের আশায় এক শ্রেণীর কৃষকরা বেশি দামে পেঁয়াজের বীজ ক্রয় করে চারা উৎপাদন করেছিল। কিন্তু চাহিদার তুলনায় বেশি উৎপাদন হওয়া এবং ক্রেতার অভাবে পেঁয়াজের চারা উৎপাদনকারী কৃষকদের খুব একটা লাভ হচ্ছে না বলে কোটচাঁদপুরের চারা উৎপাদনকারী চাষী মিজানুর রহমান জানান। কালীগঞ্জে পেঁয়াজের চারা বিক্রয়কারী জীবননগর এর আশরাফ আলী বলেন ২০ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত পেঁয়াজের চারা বিক্রয় হচ্ছে। পেঁয়াজের চারা উৎপাদনকারী চাষিরা জানায় উচ্চমূল্যের পেঁয়াজের বীজ ক্রয়ের কারণে এবার উৎপাদন খরচ প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। অধিক লাভের আশায় পেঁয়াজের চারা উৎপাদন কারী চাষীরা এবার চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি চারা উৎপাদন করেছে বলে চাষিরা মনে করছে। আমদানি বেশি ও ক্রেতার অভাবে দাম দিন দিন কমে যাচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম পেঁয়াজের চারা বিক্রয় মোকাম বলে পরিচিত ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ থানা শহর। সপ্তাহে শুক্র ও সোমবার ২ দিন হাট বসে। বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে ব্যাপারীরা কালিগঞ্জ বাজারে পেঁয়াজের চারা ক্রয় ও বিক্রয় করতে আসে এবং স্থানীয় সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চাষী ও ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের চারা ক্রয় নিয়ে যান।কালিগঞ্জ নরেন্দ্রপুর গ্রামের লিয়াকত আলী জানান, উচ্চমূল্যের বীজ ক্রয় করে এবার উৎপাদন খরচ পড়েছে প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা। কিন্তু বিক্রয় করছে মাত্র ২০ থেকে ৫০ টাকা দরে এতে পিয়াজের চারা উৎপাদনকারীরা কিছুটা বিপাকে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছেন বাণিজ্যিক ভাবে অথবা প্রতিটি কৃষক মাঠে বা তার বাড়ির আঙিনায় খালি জায়গায় অল্প করে হলেও পেঁয়াজের আবাদ করলে দেশের চাহিদা মিটানো খুব সহজেই সম্ভব।