ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : স্ত্রী’র স্বীকৃতির দাবীতে এবার সনাতন ধর্মের এক নারী এক ইউপি সদস্যের বাড়িতে অবস্থান করছেন। আজ রবিবার বিকাল পর্ষন্ত দু’দিন ধরে ওই নারী ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের সুন্দরপুর দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সজল বিশ্বাসের বাড়িতে অবস্থান করছে। গত শনিবার সন্ধ্যার আগে ওই নারী সজল বিশ্বাসের বাড়ীতে আসেন। এদিকে ওই নারী আসার পর থেকেই সজল বিশ্বাস লাপাত্তা রয়েছে। সে খয়েরতলা গ্রামের ঝন্টু বিশ্বাসের ছেলে। ঘটনাটি জানার পর কালীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন। উল্লেখ্য, গত ২জুন কালীগঞ্জ শহরের আড়পাড়া গ্রামে যশোর মনিরামপুরের এক কিশোরী এসে স্ত্রীর দাবীতে অনশন করেছিল।
কালীগঞ্জ উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, দুই বছর আগে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে সজল তাকে বিয়ে করেন। এরপর সজল তাকে নিজ বাড়িতে না উঠিয়ে কোটচাঁদপুরে বলরামপুর গ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে তোলেন। সেখানে কিছুদিন সংসার করার পর সজল তাকে ডিভোর্স দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এরপর তার পরিবার তাকে অন্যত্র দিয়ে দেয়। কিন্তু তার ৬ মাস না পেরতেই সজল আবারও তাকে ফুসলিয়ে বিয়ে করে একটি ভাড়া বাসায় তোলে। তখন তিনি সজলের নিজ বাড়ীতে যাবার জন্য চাপ দিলে ঘোরাতে থাকে। শেষে কোন উপায় না পেয়ে সজলের খয়েরতলার বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যার ওই নারী আগে সজলের বাড়ীতে আসে। সে সময়ে সজল বাড়িতে ছিল না। বাসার সামনে গেটে তালা মারা ছিল। তখন ওই নারী ছাদে উঠে সিড়ির গেট খুলে ভেতরে প্রবেশ করে। সেই থেকেই ওই নারী বাড়িতে একা অবস্থান করছেন। স্থানীয় আরো জানায়, তারা শুনেছেন সনাতন ধর্মের ওই নারী বিয়ের পর তার ধমর্ও পরিবর্তন করেছেন। সে এখন পর্ষন্ত স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ওই বাড়ীর মধ্যেই অবস্থান করছেন।
এদিকে ওই নারীর বিষয়টি জানতে ইউপি সদস্য সজল বিশ্বাসের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুর রহিম মোল্ল্য জানান, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে ওই নারী সজলের বাড়ীর মধ্যেই অবস্থান করছে। তিনি আইনি সহযোগীতা চাইলে পুলিশ ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।