জন্মভূমি ডেস্ক
প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়েছে। চুরি ও অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে করা মামলায় গ্রেফতারের পর তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৩টায় একটি প্রিজন ভ্যানে করে রোজিনা ইসলামকে কাশিমপুর কারাগারে আনা হয়। নিরাপত্তায় পেছনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি গাড়িও ছিল।
এ সময় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে রোজিনা ইসলামের স্বামী মনিরুল ইসলাম মিঠু ও নিকট আত্মীয়দের দেখা যায়। কাশিমপুর কারাগারের জেলার হোসনে আরা বিথী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আগামী ২০ মে তার জামিন শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
রোজিনা ইসলামের স্বামী মনিরুল ইসলাম মিঠু বলেন, রোজিনার শারীরিক অবস্থা ভালো না। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৭ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। স্বাস্থ্য সচিবের পিএস সাইফুল ইসলামের রুমে ফাইল থেকে নথি সরানোর অভিযোগে তাকে ওই রুমে আটকে রাখা হয় এবং তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়। একপর্যায়ে সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর তাকে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়।
রাতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ উসমানী।
\ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি \
সচিবালয়ে দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা করার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এ তদন্ত কমিটি গঠন করে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
কমিটির আহŸায়ক করা হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম-সচিব (উন্নয়ন অধিশাখা) মো. সাইফুল্লাহিল আজমকে। সদস্য হিসেবে রয়েছেন উপসচিব (প্রশাসন-২ শাখা) মো. আবদুছ সালাম ও উপসচিব (জনস্বাস্থ্য-১) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা।
কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
তদন্ত কমিটির আহŸায়ক যুগ্ম-সচিব সাইফুল্লাহিল আজম বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করার বিষয়টি জেনেছি। তবে এ সংক্রান্ত আদেশ এখনো আমার হাতে আসেনি। আমি অন্য একটি কাজে ব্যস্ত ছিলাম।