বিজ্ঞপ্তি : কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তাদের জন্য শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য ও সেবার সহজ প্রাপ্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। তাদের জন্য একটি ডিজিটাল অ্যাপস চালু করতে হবে যাতে করে তারা সহজে সেবা নিতে পারে। প্রতিটি জেলায় একটি করে স্কুল হেলথ ক্লিনিক থাকে হবে। কিশোরীদের পরিবর্তনের দ্রুত হতে পারে। তাদের ক্ষমতায়নে এবং বয়স-ভিত্তিক চাহিদাগুলো পূরণের জন্য সম্ভবপর সবকিছু আমাদেরকে করতে হবে । বাংলাদেশে কিশোর-কিশোরীদের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখের বেশি। কিন্তু তারা তাদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠা ও বিকাশের জন্য অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা ও তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক বাধার সম্মুখীন হয়। কেননা, মানসিক স্বাস্থ্য ও মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কে একদিকে যেমন রয়েছে সচেতনতার অভাব, অন্যদিকে কমিউনিটিতে ব্যাপক মাত্রায় প্রচলিত রয়েছে এবিষয়ক নানা নেতিবাচক ধ্যান-ধারণা ও কুসংস্কার। জনউদ্যোগ কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবার সচেতনতামূলক সভায় বক্তারা একথা বলেন।
সোমবার দুপুর ১২টায় নগরীর সুলতানা হামিদ আলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে জনউদ্যোগ নারী সেলের উদ্যোগে কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা ও আমাদের করনীয় শীর্ষক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জনউদ্যোগ নারী সেলের আহবায়ক এ্যাডঃ শামীমা সুলতানা শীলু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক হাসনা হেনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আফরোজা জেসমিন বীথি, প্রধান শিক্ষক মোছাঃ মাহামুদা খাতুন, সঞ্চালনা করেন জনউদ্যোগ,খুলনার সদস্য সচিব সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন । অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক সন্দীপ রায়, মোঃ আবুল হোসেন, মাহাফুজা হক, মোঃ বদরুজ্জামান, চন্দনা রানী সেন, মোঃ মনিরুজ্জামান আকুঞ্জী, অসীম কুমার দেবনাথ, তাপস কুমার বিশ^াস, কণিকা রায় প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। সেখানে কিশোর-কিশোরীরাও সব ধরনের সমস্যা জানতে পারবে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ক্রীড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সেখানে অবশ্যই কাউন্সেলিং কর্নার থাকবে। কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অভিভাবকদেরও কাউন্সেলিং করাতে হবে। বক্তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিশোরীদের পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ, স্কুল-কলেজেই শিক্ষার্থীদের মধ্যাহ্নভোজের সময় পেরিয়ে যায়। তাই এ সময়ে টিফিনের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত