এইচএম আখতারুজ্জামান বাচ্চু, বরিশাল : পটুয়ালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈয়ক থেকে হাত-পা বাঁধা অজ্ঞান অবস্থায় জসিম উদ্দিন (২৮) নামে এক যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে।
জানাযায়, গত বুধবার (২ অক্টোবর) রাত ৮ টার দিকে সমুদ্র সৈকতের ৪ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে মাঝি বাড়ি এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় জেলেরা। পরে তাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। উদ্ধারকৃত যুবক জসিম উদ্দিনের বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের কাঠালতলী এলাকায়। তিনি ওই এলাকার শাহ আলমের ছেলে। চাকরির সুবাদে ঢাকায় বসবাস করতেন। হাসপাতালে নিয়ে আসা ভ্যানচালক কবির হোসেন জানান, জেলেরা মাছ ধরে তীরে ফেরার সময় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ওই লোক চিৎকার করে বাচাঁও বাচাঁও বলছিলেন। আমরা প্রথমে পাগল ভেবে কাছে গিয়ে দেখি সৈকতে শরীরে পানি ছুঁই ছুঁই অবস্থায় পড়ে আছেন তিনি। আমরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করার পর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পরেন। তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে আসি। পরে তার সঙ্গে থাকা মোবাইল দিয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জসিম উদ্দিনের বড় বোন জোসনা মোবাইলে জানান, জসিম আমার ছোট বোনের স্বামী। তিনি ঢাকায় একটি কোম্পানীতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করতেন। হঠাৎ চাকরি চলে যাওয়ায় গাজীপুরের একটি পোষাক কারখানায় চাকরি করেন। চাকুরীতে কাগজপত্র লাগবে সেগুলো আনতে বাড়ির উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় লঙ্গে রওয়ানা দেন। এরপর আমাদের সঙ্গে আর কোন যোগাযোগ নেই। আমরা সারাদিন অনেক খোঁজাখুজিঁ করেছি এবং মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। তার মোবাইল বন্ধ ছিল।এখন শুনতে পেলাম তিনি কুয়াকাটা হাসপাতালে। কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুমসাদ সায়েম পুনম জানান, অচেতনাবস্থায় এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে জেলেরা নিয়ে এসেছেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি অবজারভেশনে আছেন। টুরিস্ট পুলিশ জোন ইনচার্জ আ. খালেক জানান, পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছে। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা পরিবারের অপেক্ষা করছি। পরিবারের লোকজন এলে এবং রোগীর জ্ঞান ফিরে এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে হাত-পা বাঁধা যুবককে উদ্ধার
Leave a comment