কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় পৃথক ঘটনায় এক প্রতিবন্ধীসহ ২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার শান্তিডাঙ্গা গ্রামে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন এবং জেলার দৌলতপুরে মানসিক এক প্রতিবন্ধীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়নপুর ইউনিয়নের শান্তিডাঙ্গা গ্রামে ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম মসলা বাটা শীল দিয়ে বড় ভাই রাশিদুল ইসলামের মাথায় আঘাত করলে সে মারা যান। আজ সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাশিদুল ইসলাম (২৬) সদর উপজেলার ইবি থানার শান্তিডাঙ্গা গ্রামের খবির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্বজনরা জানান, ছোট ভাই বাড়িতে গোসল করার জন্য টিউবওয়েলের সাথে পানির বৈদ্যুতিক মোটর বসান। রোববার রাতে মোটরটি চুরি হলে এ নিয়ে বড় ভাই রাশিদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করার একপর্যায়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে ঘরে থাকা মসলা বাটা পাটার শীল দিয়ে বড় ভাইয়ের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর দিলে ইবি থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
হত্যার বিষয়ে ইবি থানার ওসি আননুর যাহিদ জানান, তুচ্ছ ঘটনার জেরে বড় ভাইকে হত্যা করেছে ছোট ভাই। হত্যার পর থেকে ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম পলাতক আছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
অপরদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি গ্রামে নুর সালাম (৩০) নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। সে একই এলাকার শুকুর মন্ডলের ছেলে।
গত ২৪ এপ্রিলে ভোরে প্রতিবন্ধী নুর সালামকে কে বা কারা গলা কেটে গুরুতর আহত করে সোনাইকুন্ডি উত্তরপাড়া জামিয়াতুল মাদ্রাসার পাশের রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে রোববার দিবাগত রাত ২.৩৫টায় তিনি মারা যান।
হত্যার ঘটনার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, ২৪ এপ্রিলে ভোরে প্রতিবন্ধী নুর সালামকে গলা কেটে আহত করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় মামলা হলে ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।