
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় পুলিশের অভিযানে আত্মসাৎকৃত ২০ টন (৩৭২ বস্তা) ভুট্টাসহ দুই প্রতারককে আটক করেছে মডেল থানা পুলিশ। শনিবার বিকেল ৩টায় কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্সের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সুপার জানান, গত ১৫ জুন সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার খাজানগর এলাকার ভুট্টা ব্যবসায়ী ইয়াকুব মন্ডল ২০ টন ভুট্টা খুলনার অপর এক ব্যবসায়ী জাহিদ এন্টারপ্রাইজের কাছে পাঠানোর জন্য কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কাঞ্চনপুর বাজার থেকে একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট-১৮-২১৬৫) লোড করেন। পরদিন ১৬ জুন ওই ট্রাকবোঝাই ভুট্টা খুলনায় জাহিদ এন্টারপ্রাইজে পৌঁছানোর কথা থাকলেও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ভুট্টা নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছায়নি। তিনি বার বার ট্রাকের চালক এবং হেলাপারকে ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সম্ভাব্য সব জায়গায় সন্ধান চালানোর পরও খোয়া যাওয়া ২০ টন ভুট্টা এবং ট্রাকের চালক ও হেলপারের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় ব্যবসায়ী ইয়াকুব মন্ডল গত ২৩ জুন কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় কুষ্টিয়ার জগতি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মুহাম্মদ আব্দুল আলীমকে। পরবর্তীতে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহযোগিতায় কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ পর্যায়ক্রমে নড়াইল, বাগেরহাট ও গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। পরে নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার সুড়িগাতি গ্রামের একরাম মোলার ছেলে ওই ট্রাকের চালক বিলাল হোসেন (৩০) এবং বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার বৈলতলী গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে ট্রাকের হেলপার রাকিবুল ইসলামকে (৩০) আটক করতে সক্ষম হয়।
ওই ২০ টন ভুট্টার মধ্যে ৩৪ বস্তা ভুট্টা তারা ভাঙিয়ে গুঁড়া করে ফেলেছেন। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ভাঙানো এই ভুট্টা বাগেরহাট সদর থানা এলাকা থেকে, ২০০ বস্তা ভুট্টা ফকিরহাট থানার বালিয়াডাঙ্গা এবং ১০০ বস্তা ভুট্টা পোলেরহাট এলাকা থেকে জব্দ করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতার দুজন পেশাদার প্রতারক। প্রতারণার উদ্দেশ্যে তারা যে ট্রাকে (ঢাকা মেট্রো ট-১৮-২১৬৫) ওই ভুট্টা লোড করেন সেই নম্বর প্লেটটিও ভুয়া ছিল। পুলিশ ট্রাকটি উদ্ধারসহ প্রতারক চক্রের সঙ্গে আরও যারা সম্পৃক্ত রয়েছেন তাদেরকেও আটকের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।