হুমায়ুন কবির, খোকসা (কুষ্টিয়া) : কুষ্টিয়ার রাজবাড়ীর মহাসড়কের শিমুলিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর নামক স্থানে বাস ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে এক মহিলার হাত বিচ্ছিন্ন সহ আহত ২৮ জন।
শনিবার সকাল পৌনে নয়টার সময় কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রভাতী শ্রাবনী ( ঢাকা মেট্রো- ট-১১- ৬৮ ৩৫) ও রাজবাড়ী থেকে দ্রুত গতিসম্পন্ন ট্রাক( খুলনা মেট্রো ড্র ১১ -০১৮০) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে লোকাল গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী ব্রিজের নিচে পড়ে যায়।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস এর সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে আনা হয়। ঘটনা স্থলে শিখা রানী (৪৮) নামক মহিলার ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অপর বৃদ্ধা খোকসা মাশিলিয়া গ্রামের আকাম উদ্দিন (৭০) এইদুইজন কে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া হাসপাতালে রেফাট করা হয়।

গুরুতর আহত কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের বাসিন্দা চুন্নু মোল্লা (৬৭) কুমারখালী সদকি গ্রামের আবু জাফর (৭৭) আরো ২৫ জন কে খোকসা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও) আবির হোসেন সোহাগ জানান, সকাল পৌনে নটার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় রোগী আসা শুরু হয় হাসপাতালে। মুহূর্তের মধ্যে হাসপাতালটিতে মোট ২৮ জন রোগী ভর্তি হয়। এদের মধ্যে থেকে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বাকিদেরকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে প্রায় ১০-১২ জন বাড়ি বা গন্তব্য স্থলে চলে গেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আরিফুল হক জানান রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন মৃত লাশ পাওয়া যায়নি তবে একজন মহিলার ডানহাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
খোকসা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড ডিফেন্স স্টেশনের (ভারপ্রাপ্ত) সাব অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল থেকে একজন মহিলার বিচ্ছিন্ন হাত উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি আহতদেরকে উদ্ধার করে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত বাসটি তল্লাশি করা হচ্ছে। উদ্ধার কারা সমাপ্তির পর বলা যাবে সর্বশেষ অবস্থা।
এদিকে কুষ্টিয়ার রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের বাস ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনায় প্রায় ঘন্টাখানেক সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে।এতে দু'পাশে শত শত গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। পরে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও পুলিশের সহযোগিতায় সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।