
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: প্রান্তিক গ্রামের নারীদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বরাদ্দের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় (এলডিডিপি) কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্তৃক উপজেলার খোকসা পৌরসভার ১,২ও৩ নং ওয়ার্ডের মাঠপাড়া ও মাছুয়াঘাটা গ্রামে দুইটা সমিতির ৬০টি পরিবারকে মুরগির ঘর তৈরি করে দেওয়ার প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে।
প্রাথমিক অবস্থায় পৌরসভার মাঠ পাড়ার এক দুই ও তিন নং ওয়ার্ডের ৩০ টি ভুক্তভোগী পরিবারের মাঝে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এরই অংশ হিসাবে উপজেলা পর্যায়ে গঠিত প্রডিউসার গ্রুপের পিজি সদস্যদের জন্য ইনভেস্টমেন্ট সাপোর্টের আওতায় সমিতির সভাপতি অঞ্জনা খাতুন এর মাধ্যমে প্রোগ্রামের সাপোর্টিং অফিসার আব্দুল আলীমের সহযোগিতায় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদের তত্ত্বাবধানে পিজি সমিতির ৩০ জন মহিলা স্বাবলম্বী করতেই এরই মাঝে ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে চৌদ্দ বর্গফুট আর্দ্রতা রদক ইন্সুলেন্ট পেপার দেওয়া হয়েছে প্রতিটা মুরগির ঘর নির্মাণে।
বৃহস্পতিবার সকালে পৌরসভার এক দুই ও তিন নং ওয়ার্ডের উপকারভোগী বিভিন্ন সদস্যদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে চলমান মুরগির ঘর কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে বলে সদস্যরা জানান।
প্রাথমিক অবস্থায় ঘর নির্মাণের সাপোর্টিং অফিসার আব্দুল আলিম সমিতির সদস্যদের সহযোগিতায় নির্বাণ কাজ ধীর গতি হওয়ায় সদস্যদের বোঝে অসন্তুষ্ট বিরাজ করে। পরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শাহীনা বেগমের সার্বিক হস্তক্ষেপে সকল কার্যক্রম তারান্বিত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার কার্যক্রম গ্রহণ করেন।
এর আগে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সমিতির সভাপতি অঞ্জনা খাতিন সকল সদস্যদের নিয়ে এ প্রকল্পের কার্যক্রমের টাকা উত্তোলন-পূর্বক প্রতি সদস্য নিজ উদ্যোগে ও সাপোর্ট অফিসার আমিরুলের সার্বিক সহযোগিতায় ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে মুরগির ঘর নির্মাণ করার কার্যক্রম শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে উপকারী আরজিনা বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে ১৪ বর্গফুটের আর্দ্রতা প্রতিরোধক ঘরটি নির্মাণের প্রায় শেষ পর্যায়ে। ঘর পেয়ে গৃহেনে আর্জিনা বেগম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান সেই সাথে নিজেকে স্বাবলম্বী হতে দেশীয় মুরগি পালন করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবেন বলেও জানান।
অনুরূপ ঘর পাওয়া পাখি বেগম বললেন, পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা লক্ষ্যে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস কর্তৃক মুরগির ঘর করে দোয়ায় আমি আর্থিকভাবে লাভবান হব। ডিজে মুরগি উৎপাদন করে নিজে টাকা উৎপাদন করব সেইসাথে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করব।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার শাহিনা বেগম বলেন ২০২২ ২৩ অর্থবছরের প্রকল্পের আওতায় খুবসা উপজেলায় আর ডিডিপি প্রকল্পে দুইটা সমিতির মাধ্যমে ৬০ জন গৃহিণীকে প্রতিজনকে বিশ হাজার টাকা ব্যয়ে ষাটটি মুরগির ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে এরমধ্যে পৌরসভার বাট পাড়া এক দুই ও তিন নং ওয়ার্ডে ৩০ জন সদস্য অপরটি বাসোয়াঘাটা গ্রামের ৩০ জন সদস্য রয়েছে এছাড়াও হিজলাবাদ গ্রামে ৩০ জন পরিবারের মাঝে ছাগল পালনের জন্য প্রতিজনের বরাদ্দে ২৫ হাজার টাকা করে ছাগল রাখার ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন এ প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলে আর্থিকভাবে স্থানীয় অশ্বল নারীরা স্বাবলম্বী হবে এবং তা থেকে পুষ্টিকর খাদ্য ও আর্থিকভাবে লাভবান হবে প্রতিটা পরিবার।