হুমায়ুন কবির, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার খোকসা হানাদার মুক্ত দিবস আজ । ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর খোকসা থানা হানাদার মুক্ত হয়। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
তৎকালীন সময় স্থানীয় খোকসা হাইস্কুল, শোমসপুর হাইস্কুল, গণেশপুরের গোলাবাড়ীর নিলাম কেন্দ্র ও মোড়াগাছায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ও রাজাকার বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি ছিল। এ জনপদে হত্যা, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের একটি ইউনিট।
প্রথমে পাকিস্তান পুলিশ উৎখাতের উদ্দেশে থানা দখলের পরিকল্পনা হয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে মুজিব বাহিনীর কমান্ডার আলাউদ্দিন খানের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন মুক্তিযোদ্ধারা থানা দখলের জন্য চারদিক থেকে আক্রমণ করে। তবে মুজিব বাহিনীর সাথে গেরিলা যোদ্ধাদের একটি সম্পৃক্ততা ছিল বিধায় শক্তি বৃদ্ধি হয় মুক্তিযোদ্ধাদের।
রাতভর যুদ্ধের পর সকালে ৩৫ জন পুলিশ ও ৩৬০ জন রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। ৪ ডিসেম্বর খোকসা থানায় বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন খোকসা জানিপুর পাইলট হাইস্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন। পতাকা উত্তোলনের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন খান এবং মুক্তিযোদ্ধারা ।
দখল করা প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও আটকদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে ক্যাম্পে পৌঁছালে ৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদারদের একটি বড় দল আবারও থানা দখলের চেষ্টা করলে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পাকিস্তানি সেনা সদস্যদের দলটি খোকসা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। হানাদারমুক্ত হয় খোকসা ।
হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে ৪ঠা ডিসেম্বর সকাল ১০ টার সময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শহীদ মিনারে পুষ্প মাল্য অর্পণ, সকাল সাড়ে ১০ টার সময় পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা । সকাল ১১ টার সময় মিলাদ মাহফিল ও ১১ঃ১৫ মিনিট সময় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সকল অনুষ্ঠান খোকসা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বর, খোকসা, কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত