ডেস্ক রিপোর্ট : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লার দর্গায় পানি-নিষ্কাশনে জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ দ্বিতীয় দফায় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে কাজের চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কথা ছিল রাস্তার জমি জরিপ,অবৈধ স্থপনা করে সঠিক সীমানা নির্ধারণের পর ড্রেনেজ কাজ শুরু হবে, তা না করে দায় সারা ভাবে যেম্বা-তেম্বা করে,ইচ্ছা স্বাধীন ভাবে রাস্তার জমি কোন থানে ৪ ফুট কোন থানে ৮ ফুট বাদ রেখে চলছে ড্রেনের কাজ। অন্য দিকে স্বপ্ল পরিসরে ড্রেন নির্মানের কাজ কঠিন হয়ে উঠেছে,বাজারে নানা অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠার কারণে রাস্তার পরিধি সরু হয়ে যানজট চরম আকার ধারণ করেছে, যা আইন শৃংখলার অবনতি দেখা গেছে। আইন শৃংখলার তোয়াক্কা না করে, বাজার কমিটি বা এলাকার সুধি সমাজের সহযোগিতা প্রয়োজন মনে করছেনা ঠিকাদার,এ কারণে দোকানদাররা দোকানের সামনে ইচ্ছামতো জমি রেখে ড্রেনের কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। আগামীতে রাস্তা চওড়া করার প্রয়োজন হলে আর কখনো চওড়া করা সম্ভব হবে না। এদিকে ড্রেন ঢালাইয়ের সময় লক্ষ্য করা গেছে ৬ ভাগ কমা বালি ৬ ভাগ খোয়া ও এক ভাগ বা বস্তা সিমেন্ট হাঁড়ির মধ্যে দিয়ে ঢালাই চলছে। যা অত্যন্ত নিম্নমানের ঢালাই, এক টলি পঞ্চগড়ের ভাল বালি পড়ে থাকলেও তা সুধু রয়েছে আই ওয়াসের জন্য। রড বিন্যাসে চরম অনিয়ম দেখা গেছে। ঢালাইয়ের সময় সর্বনিচের দিকে তলায় ঢালায়টা নিম্নমানের খোয়া ও সিমেন্টের ভাগ কম দিয়ে কাদা-মাটি পরিষ্কার না করে কাদার মধ্যেই ঢালাই দেয়া হচ্ছে। দোকানদাররা ইচ্ছামত দেন যা সরকারি জমি দোকানদারদের অনুকরে অনুকূলে পীরের ফেলে রাখার পর ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। ড্রেনের মাটি কাটাতেও রয়েছে চরম দূর্নীতি, মাটি কেটে টলিতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, প্রতিনিয়ত বাইরে মাটি বিক্রয় করা হচ্ছে। যার মূল্য প্রতি টলির ৫০০ টাকা। ঠিকাদারের ইচ্ছা অনিয়ম ও দূর্নীতি আশ্রয় নিয়ে কাজ প্রায় কোটি টাকার করলেও অজ্ঞাত কারণে কোন সরকারী কর্মকর্তার দেখা মেলেনি। এ ব্যাপারে ড্রেন নির্মানের শ্রমিকদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায়, ঠিকাদার যে ভাবে বলছে, আমরা সে ভাবে কাজ করছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আর্কষণ করছে এলাকাবাসী।
