হুমায়ুন কবির, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া খোকসা উপজেলার রজব আলীর দুইপুত্র ও দোকান ঘরের ভাড়াটিয়াদের প্রাণনাশের হুমকি ও আগ্নেয়অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতির অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৫) নভেম্বর) বিকেলে জেলার খোকসা উপজেলার মাঠপাড়া এলাকার মৃত মনসের আলীর ছেলে রজব আলী বাদী হয়ে ঘটনার বিষয় উল্লেখ্য করে খোকসা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওসমানপুর ইউনিয়নের হিজলাবট এলাকার মৃত ডাঃ আশার সন্ত্রাসী ছেলে পারভেজ উল আলম রাজন তার ক্যাটার বাহিনী নিয়ে চলতি বছরের গত ১৪ নভেম্বর।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে রজব আলীর দোকানের ভাড়াটিয়াদের হুমকি দেয়। এর আগে রজব আলীর দুই পুত্রকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া সহ বাড়ি নির্মান কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগ রয়েছে। রাজন বর্তমানে খোকসার পাতিলডাঙ্গী এলাকায় বসবাস করেন। ঘটনার বিষয়ে রজব আলী অভিযোগে জানান, রাজিনাথপুরে নির্মাণাধীন “খোকসা হেলথ ইনস্টিটিউট” সংলগ্ন আমার নিজেস্ব সম্পত্তির সামনে প্রায় ৩০ বছর যাবত জেলা পরিষদের সম্পত্তি যাহা জেলা পরিষদ থেকে লীজ গ্রহণ করিয়া ভোগদখলে রহিয়াছে। গত ০২ বছর আগে লিজকৃত জায়গার কিছু অংশে ১১ টা দোকান ঘর নির্মাণ করি এবং দোকান ঘরগুলো ভাড়া দেওয়া রয়েছে। হঠ্যাৎ গত ১৪ নভেম্বর পারভেজ উল আলম রাজন তার সন্ত্রাসী ক্যাডারদের সাথে দোকান ঘরের ভাড়াটিয়ারদের কাছে গিয়ে হুমকি দেয়। এখন থেকে দোকানের ভাড়া রাজনের কাছে পরিশোধ করতে হবে। এছাড়াও তিনি উল্লেখ্য করে বলেন, গত বছরের ২০২৩ সালের ১৮জুন রাজনের বিরুদ্ধে রজব আলীর মেয়ে চম্পা খাতুন বাড়ি নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়া সহ মালামাল চুরির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে রজব আলীর দুই ছেলে বাবুল আক্তার ও হাসানুর রহমানকে প্রাণনাশের হুমাকি দেওয়া সহ আগ্নেয় অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। এঘটনার বিষয়ে রজব আলীর পুত্র বাবুল আক্তার বলেন, বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সাবেক এমপি ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ ও খোকসা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল আখতারের ছত্র ছায়ায় থেকে রাম রাজত্ব চালাত পারভেজ উল আলম রাজন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সন্ত্রাসী রাজন আগ্নেয় অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি দেখাতো আমাদের। তিনি আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে এলাকা ছাড়েন আওয়ামীলীগের
নেতারা। তবে তাদের দোসর সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী আমাদের মত নিরীহ মানুষের উপর জুলুম অত্যাচার করছে। এখনো আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের ভয়ে তারা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলে জানান
তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঈনুল ইসলাম বলেন, উক্ত ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে জেলা পরিষদের জায়গায় ঘরনিয়ে আদালতে মামলা দিলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।
কুষ্টিয়া খোকসায় দোকান ঘর দখলের চেষ্টা
Leave a comment