জন্মভূমি ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের বেশির ভাগ সংসদ সদস্য (এমপি) পদপ্রার্থীকে ভোটাররা চেনেন না। যে ১০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশেরই রাজনীতিতে তেমন পরিচিতি নেই। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সচেতন ভোটারদের অনেকেই এমন মন্তব্য করেন।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) সংসদীয় আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট ১০ জন প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রউফ, তৃণমূল বিএনপির আবু সামস খালেকুজ্জামান, তরিকত ফেডারেশনের আলতাফ হোসেন, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) আয়েন উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী নৈশপ্রহরী খাইরুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের রাশিদুল ইসলাম, এনপিপির শহিদুল ইসলাম ও বিএনএফের হারুনার রশিদ। তাঁদের মধ্যে নৌকার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচিতি রয়েছে। তবে বাকিদের আগে কখনো রাজনৈতিক ময়দানে সক্রিয়ভাবে দেখা যায়নি।
এই আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবু সামস খালেকুজ্জামান নিজেকে জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য দাবি করলেও জেলা বিএনপির তা অস্বীকার করেছে। জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সরকার বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতিতে তিনি সক্রিয় কেউ নন। তাই তাঁকে আমরা চিনি না।’
নতুন ভোটার জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘জীবনের প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পেলেও মনে তেমন উৎসাহ নেই। যাঁরা এমপি প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেককেই আমি চিনি না, জানি না।’
ভোটার মিনহাজ বলেন, ‘এবার আমাদের আসনে ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে অনেককেই আমি চিনি না। শুধু আমি নয়, খোকসা-কুমারখালীর বেশির ভাগ সাধারণ ভোটার তাঁদের চেনেন না।’
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন নির্বাচনের সময় প্রচার প্রচাররা শুরু হলে তখন এ সকল প্রার্থীদের সাথে সাধারণ ভোটারদের সখ্যতা গড়ে উঠবে।
একটি অর্থবহ এবং জবাবদিহিতামূলক সুন্দর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তারা।