অদ্য ৩০ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ, ১৪ কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দ সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় কেএমপি’র সদর দপ্তরস্থ পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা মহোদয়ের সভাপতিত্বে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অপরাধ পর্যালোচনা সভার শুরুতে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মহোদয় উপস্থিত সকলকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে অপরাধ পর্যালোচনা সভা শুরু করেন। পুলিশ কমিশনার মহোদয় তার বক্তব্যে বলেন যে, “খুলনা মহানগরীতে জঙ্গী ও সন্ত্রাস, মাদক, মানব পাচার, চাঁদাবাজি প্রতিহত করতে এবং যানজট মুক্ত নগরী গড়তে আমরা বদ্ধ পরিকর। হত্যা, ডাকাতি, দস্যুতা, গণধর্ষণ, অপহরণসহ গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর মামলাসমূহের নিবিড়ভাবে তদন্ত করতে সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন। যে কোন ধরণের ফৌজদারি ও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেজন্য তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে সংশ্লিষ্ট অফিসারদেরকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন যে, খুলনা এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ শুনতে চাই না এজন্য মাদক ব্যবসায়ীদের ও সন্ত্রাসীদের তালিকা হালনাগাদ করে মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী, জুয়াড়ি, দেহ ব্যবসায়ী এবং ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে। এছাড়া মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সকল গুরুত্বপূর্ণ মামলার ছায়া তদন্ত করবে। কেএমপির আওতাধীন এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটলে দ্রুততার সাথে মামলা রুজু করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেতে হবে। চোরের ডাটাবেজ করতে হবে এবং চুরি বন্ধে নাইট গার্ডদের টহল পুলিশ সতর্ক করবে। ডিউটি কালীন সময়ে লাইট ও বাঁশি ব্যবহার করলে সিধেঁল চুরি বন্ধ হয়ে যাবে। অভিযোগগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ প্রদান করেন। খুলনা মহানগরীতে মোটরসাইকেল চোরচক্র গ্রেফতারের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশনা প্রদান করেন। সকল পদমর্যাদার অফিসার-ফোর্সকে ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে, কারো অনাকাঙ্খিত চলাফেরার কারণে যেন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের দুর্নাম না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমরা সবাই মিলে কেএমপিকে একটি চমৎকার গতিশীল ইউনিটে পরিণত করতে চাই।
কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মহোদয় অপরাধ পর্যালোচনা সভা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) মোঃ মিজানুর রহমান মোল্লাকে মাদক উদ্ধার; গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) এস.কে লুৎফর রহমানকে মাদক উদ্ধার; গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) মোঃ ইমদাদুল হককে ভেজাল মধু উদ্ধার; আরসিডি বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (সঃ) মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ মৃধাকে পিটি, প্যারেড এবং মোবালাইজেশন কোর্স পরিচালনা; সোনাডাঙ্গা মডেল থানা হতে এসআই (নিঃ) অনুপ কুমার ঘোষকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার এবং এসআই (নিঃ) সুমন মন্ডলকে মাদক উদ্ধার, ওয়ারেন্ট তামিল, ভিকটিম উদ্ধার ও হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার; লবণচরা থানার হতে এসআই (নিঃ) মোঃ আব্দুর রহিমকে অস্ত্র-গুলি, মাদক উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিল; এসআই (নিঃ) মোঃ ইমরান খান ও এএসআই (নিঃ) মোঃ ইমদাদুল হককে যৌথভাবে মাদক উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিল; এসআই (নিঃ) মোঃ মোকলেকুর রহমানকে অস্ত্র গুলি উদ্ধার ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন; এসআই (নিঃ) খান মোঃ তানজির হোসাইনকে মাদক উদ্ধার, ওয়ারেন্ট তামিল, ভিকটিম উদ্ধার, হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার ও গুরুত্বপূর্ণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার এবং এসআই(নিঃ) প্রদীপ বৈদ্য, ওয়ারেন্ট তামিল ও ভিকটিম উদ্ধার; খালিশপুর থানার এসআই(নিঃ) মোঃ রফিকুল ইসলামকে মাদক উদ্ধার, ওয়ারেন্ট তামিল ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন; দৌলতপুর থানার এসআই (নিঃ) মোঃ আলিমুজ্জামানকে অস্ত্র গুলি উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিল; এসআই(নিঃ) মোঃ বদিউর রহমানকে মাদক উদ্ধার, ইজিবাইক উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিল; এএসআই(নিঃ) মোঃ কামাল হোসেন এবং এএসআই(নিঃ) ইমরান হোসাইনদেরকে যৌথভাবে অস্ত্র গুলি উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিল; আড়ংঘাটা থানার এসআই(নিঃ) প্রদীব কুমার বিশ্বাসকে মাদক উদ্ধার ও চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার এবং এসআই(নিঃ) মোঃ লুৎফুল হায়দারকে ব্যাটারি চালিত ভ্যান উদ্ধার; খানজাহান আলী থানার এসআই(নিঃ) কামরুল হুদাকে যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত ওয়ারেন্ট তামিল; এসআই(নিঃ) ইসতিয়াক আহম্মেদকে ভিকটিম উদ্ধার ও চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার এবং এএসআই(নিঃ) মোঃ তুহিন মিয়াকে মাদক উদ্ধার, ওয়ারেন্ট তামিল ও চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার; গোয়েন্দা বিভাগ হতে এসআই (নিঃ) মোঃ মইজুল ইসলাম ইমনকে ভেজাল মধু উদ্ধার; এসআই(নিঃ) মোঃ সিরাজুল ইসলামকে মাদক উদ্ধার; এসআই(নিঃ) মোঃ শরিফুল ইসলামকে মাদক উদ্ধার; এসআই(নিঃ) সেলিম হোসেনকে মাদক উদ্ধার এবং এএসআই(নিঃ) মোঃ জাহিদুর রহমানদেরকে মাদক উদ্ধার; মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি পুলিশিং শাখার এসআই (নিঃ) মিলন টিকাদারকে দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন ও শৃঙ্খলামূলক আচরণে; নগর বিশেষ শাখার এসআই(নিঃ) আনোয়ার হোসেনকে দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন; প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই(নিঃ) গোপাল শাহকে ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করতে সহযোগিতা ও রিমান্ড মঞ্জুরে সহায়তা প্রদান; প্রসিকিউশন বিভাগের এএসআই(নিঃ) মোঃ মাহাবুর রহমানকে দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন; এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট শাখার এসআই(নিঃ) শাহনেওয়াজকে নির্মাণ ও মেরামত সংক্রান্ত কাজ তদারকীতে সহায়তা; সদর দপ্তর আইসিটি শাখার এসআই(নিঃ) শাহীন আনসারীকে দাপ্তরিক কাজের জন্য; ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের এসআই(নিঃ) আফছানা ইয়াসমিনকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে আগত ভিকটিমদের সেবা প্রদান; টিএসআই মোঃ ওবাইদুল হককে সড়ক ও পরিবহন আইনে ১৪১ টি মামলা রুজু; আরসিডি বিভাগের এসআই(সঃ) গাজী তৈয়েবুর রহমানকে সরকারি ডিউটি সততা ও নিষ্টার সহিত পালন করার জন্য; এসএএফ বিভাগের এএসআই(সঃ) আনোয়ার হোসেনকে ফোর্স ব্যবস্থাপনা সুচারুভাবে নিয়ন্ত্রণ; কনস্টেবল মোঃ মহসিন আলীকে কর্তৃক পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা সহ বিভিন্ন ইউনিট এবং অভ্যান্তরীণ সকল পত্র ও রিসিভ ও ডেসপাস কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পাদন; অপরাধ শাখার কনস্টেবল দেবাশীষ দাসকে দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন; কনস্টেবল মেহেদীকে ইলেকট্রিক যন্ত্রাংশ সঠিকভাবে পরিচালনায়; কনস্টেবল মোঃ মাসুম বিল্লাহকে দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন; স্টোনো টাইপিস্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ ছাবেদ আলীকে দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন; ইউডিএ মোঃ মনিরুল হোসেনকে দাপ্তরিক কাজ সঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য নগদ অর্থ ও সার্টিফিকেট এবং ক্রেস্ট প্রদান করেন।
কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা মহোদয় মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, নারী নির্যাতন, চুরি এবং সাইবার সংক্রান্ত মামলার তদন্তের অগ্রগতি, ওয়ারেন্ট তামিলের পরিসংখ্যান, থানায় মামলা রজু ও নিষ্পত্তির পরিসংখ্যান, সাজা ও খালাস মামলার পরিসংখ্যান পর্যালোচনাসহ সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের মূলতবী মামলা সমূহের দ্রুত নিষ্পত্তি, অস্ত্র উদ্ধার, জঙ্গি গ্রেফতার, ওয়ারেন্ট তামিল হার বাড়ানো, আগ্নেয়াস্ত্র চেকিং এবং মাদকদ্রব্য উদ্ধার সংক্রান্তে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে সততা ও স্বচ্ছতার সাথে দেশের কল্যাণে কাজ করার জন্য সকলকে নির্দেশ প্রদান করেন এবং সংশ্লিষ্ট ডিসিদেরকে মনিটরিংয়ের পাশাপাশি ফোর্সের চেইন অব কমান্ড এবং ডিসিপ্লিন ঠিক রাখতে ব্রিফিং করার জন্য দিক নির্দেশনা প্রদান করেন”।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) জনাব সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) জনাব মোঃ সাজিদ হোসেন এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) জনাব মোছাঃ তাসলিমা খাতুন-সহ ডেপুটি পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, সহকারি পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, অফিসার ইনচার্জবৃন্দ এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কেএমপিকে একটি চমৎকার গতিশীল ইউনিটে পরিণত করতে চাই: কেএমপি কমিশনার
Leave a comment