কেশবপুর প্রতিনিধি : কেশবপুর ভবঘুরে প্রজাতির প্রায় চারশ' কালোমুখি হনুমানের বসবাস রয়েছে যশোরের কেশবপুর উপজেলায়। ধারণা করা হয় কয়েকশ বছর ধরে উপজেলার ১০-১৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলছে বিরল প্রজাতির হনুমানগুলোর বিচরণ। এ কারণেই এলাকাটিকে বলা হয় কেশবপুরের হনুমান গ্রাম। কালোমুখি হনুমান প্রজাতির জন্ম প্রায় চারশ' বছর আগে। বছরের পর বছর নানা ঘাত প্রতিঘাত
সহ্য করে অল্পসংখ্যক হনুমান পৃথিবীতে টিকে আছে। বর্তমানে কেবল বাংলাদেশের কেশবপুর ও ভারতের নদীয়া জেলায় আচরণ এবং বুদ্ধিমত্তায় উন্নত কালোমুখ ভবঘুরে হনুমানের এই প্রজাতিটি দেখতে পাওয়া যায়। কথা বলতে না পারলেও এ কালোমুখ হনুমানদের অনুভূতি শক্তি প্রায় মানুষের কাছাকাছি। তাই কেশবপুরের মানুষের সঙ্গে রয়েছে এদের সখ্যভাব। এরা মানুষের কাছ থেকে বাদাম, কলা, রুটি ইত্যাদি নিয়ে খায়। মানুষকে বিভিন্নভাবে বিনোদনও দেয়। আবার কখনো কখনো মানুষের দ্বারা উত্যক্ত হয়ে হিংস্র হয়ে ওঠে।
দুই যুগ আগেও পাঁচ হাজারের বেশি হনুমান দাপিয়ে বেড়াতো কেশবপুর জুড়ে। কিন্তু এখন মাত্র চারশত হনুমান জীবিত আছে। আবার বেশ কিছু হনুমান তাদের বসবাসের পরিবেশের রূপান্তরের কারণে দেশান্তরি হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী মণিরামপুর, অভয়নগর উপজেলায় অনেক হনুমান খাদ্যের অভাবে চলে গেছে। এছাড়া বৃক্ষের অভাব ও পরিবেশগত কারণে হনুমানগুলো খাবার এবং আশ্রয়ের অভাবে কমতে শুরু করছে। পেঁপে, আম, কলা, সফেদা, মূলা, বেগুন, পাউরুটি, শাকসবজি, কচিপাতা, বিস্কুট, বাদাম ইত্যাদি এদের প্রিয় খাবার।
তবে এই বিলুপ্ত প্রজাতির কালো মুখ হনুমান খাবারের অভাবে কেশবপুরের গ্রাম অঞ্চলেও ডুকে পড়ে। এতে করে দেখা গেছে কুকুর অথবা বখাটে ছেলেদের আক্রমণে হতাহত হয়। কেশবপুর বাসির দাবি এই বিলুপ্ত প্রজাতির কালো মুখো হনুমান রক্ষার্থে প্রশাসন সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
যশোর জেলা থেকে কেশবপুর উপজেলা সদরের দূরত্ব প্রায় ৩৩ কিলোমিটার। স্থানীয় যেকোনো পরিবহণ অথবা বাসে চড়ে যশোর থেকে কেশবপুর হনুমান গ্রামে আসতে পারবেন।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত