শিক্ষকরা রাজকীয় খাবার পেলেও শিক্ষার্থীরা পেল পানিবিহীন খেচুড়ি
যশোর অফিস : গভর্ণিং বডির সদস্য এবং শিক্ষকরা খেলেন রাজকীয় খবার। আর শিক্ষার্থীদের দেয়া হলো শুকনা খেচুড়ি। ৎওা আবার পানি বিহীন। অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভালুকঘর ডিগ্রি ফাযিল মাদ্রাসায়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জনাযায়, গত মঙ্গলবার অত্র মাদ্রসায় অভিভাবক সম্মেলনের নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে যোগ দিতে সকাল ৯ টায় উপস্থিত হয় ছাত্র-ছাত্রীরা। সম্মেলনের মূল আকর্ষণ প্রধান অতিথির যেতে বিলম্ব হওয়ায় অনুষ্ঠান শেষ করতে বেলা ৩ টা বেজে যায়। প্রায় ৭ ঘন্টা অনুষ্ঠানে থাকার পর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় ক্ষুদ্রাকৃতির শুকনা খেচুড়ির প্যাকেট। অন্যদিকে আয়োজক কর্তৃপক্ষ কমিটির অন্যান্য সদস্য এবং শিক্ষকদের নিয়ে ভুড়িবোজ করেন কবজি ডুবিয়ে। যা রান্না হয় জামায়াত নেতার বাড়িতে।
মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির অভিভাবক সদস্য হায়দার আলী জানান, সম্মেলনে প্রধান আকর্ষণ ছিলেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি এডিসি শিক্ষা। তার আগমণ উপলক্ষে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দুপুরে রাজকীয় খাবারের আয়োজন করে। যা রান্না করা হয় জামায়াত ইসলামের সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমানের বাড়িতে। এদিকে সুধী সমাবেশের কথা বলা হলেও মূলত তিনি আসেন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে। সমাবেশ শেষে গভর্ণিং বডির সভা হয়। ওই সভায় তিনিসহ কমিটির ৫ জন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এলাকার ৯০ ভাগ অভিভাবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাছাড়া কমিটি নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। এ কারণে তারা ওই সমাবেশে যোগ দেন নি।
এ ব্যাপারে সভায় উপস্থিত থাকা দাতা সদস্য ইব্রাহীম মোল্যার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তারা (নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য) প্রথমসভা থেকে এপর্যন্ত সব কয়টি সভা বয়কট করে আসছেন।
এদিকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতি অমানবিক আচারণ এবং জামায়াত নেতার বাড়ির রান্নায় ভুড়িভোজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে সৃস্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।