যশোর অফিস : যশোর কেশবপুরে বগাশাহ কারারীয়া আলিম মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির দায়ে মাদ্রাসার অধ্যাক্ষসহ চারজনকে বিভিন্ন ধারায় ১৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সামছুল হক এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, বগা শাহ কারারীয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলী আহসান, সভাপতি এসএম বাবর, দারুল উলুম মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন ও যশোর সরকারি সিটি কলেজের তৎকালিন প্রধাণ সহকারী জিমানুর রহমান। সাজাপ্রাপ্ত সকলেই কারাগারে আটক আছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।
এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ৪২০ ধারায় ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৪৬৮ ধারায় ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৪৭১ ধারায় ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
আসামি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এসএম বাবর ও অধ্যক্ষ আলী আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের ৪২০ ধারায় ৫ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৪৬৮ ধারায় ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৪৭১ ধারায় ২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ৩ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ২ মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
আসামি দারুল উলুম মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মতিনকে ৪২০ ধারায় ৩ বছর সশ্রম কারাদন্ড, ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদন্ড-৪৬৮ ধারায় ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড, ৪৭১ ধারায় ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড, ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। রায়ে সাজা একই সাথে চলবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।