আশরাফুজ্জামান, কেশবপুর : অবৈধভাবে টেন্ডার ছাড়াই কেশবপুর সরকারি পশুহাটের শিশুগাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে কেশবপুর পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে কাঠ ব্যবসায়ী ওই সরকারি পশুহাট থেকে ৫ টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে।জানা গেছে, কেশবপুর সরকারি পশু হাটের বড় শিশু গাছগুলো মারা যায়।
ব্যবসায়ীরা জানান গাছগুলোর আনুমানিক মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। পশুহাটের মরা গাছগুলোর জন্য পশু ক্রেতা ও বিক্রেতারা আতঙ্কে ছিল।
এ সমস্যা সমাধানের জন্য কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তুহিন হোসেন মরা শিশু গাছগুলোর মূল্য নির্ধারণ করে টেন্ডারের জন্য নির্দেশ দেন উপজেলা বন বিভাগকে।
১৬ই জুলাই ২০২৪, রোজ মঙ্গলবার বনবিভাগের পক্ষে পশু হাটের মরা শিশু গাছগুলোর মূল্য নির্ধারণসহ মাপযোপ করতে যায়। এ সময় এক ব্যবসায়ীকে গাছ কাটতে দেখে খবর দেওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে।এ খবর পেয়ে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে কেশবপুর পৌর সহকারী ভূমি কর্মকর্তা গাছকাটা বন্ধ সহ কাটা গাছগুলো জব্দ করেন।
কেশবপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা হাবিবুজ্জামান বলেন ১৬ ই জুলাই মঙ্গলবার পশু হাটের মরা শিশু গাছগুলোর মূল্য নির্ধারণ করে টেন্ডারের জন্য পশুহাটে যায়। যেয়ে দেখি এক কাঠ ব্যবসায়ী তার শ্রমিক দিয়ে গাছ কাটাচ্ছে। ইউএনও স্যারকে ফোনে বিষয়টি জানাই।
এ বিষয়ে কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার মাসিক মিটিং এ পশুহাটের মরা শিশু গাছগুলো অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।উক্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক গাছ কাটা চলছিল।উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাছকাটা কেন বন্ধ করলেন তিনিই তা ভালোভাবে বলতে পারবেন।
কেশবপুর পৌর সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন পৌরসভাধীন পশুহাট পৌরসভা ইজারা দিতে পারে কিন্তু সরকারি গাছ বিক্রির কোন ক্ষমতা পৌরসভার নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তুহিন হোসেন বলেন সরকারি গাছকাটার খবর পেয়ে জব্দ করা হয়েছে কাঠ। যারা টেন্ডার ছাড়াই গাছ কেটে বিক্রি করছিলেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেশবপুরে অবৈধভাবে গাছ বিক্রি করলেন পৌর মেয়র
Leave a comment