আশরাফুজ্জামান, কেশবপুর : কেশবপুরে সুফলাকাটী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের পূর্ব সারুটিয়া বিলে মৎস্য ঘের জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় দখল কারীরা তার ঘেরের টোং ঘর ভাংচুর করে ঘেরের লাখ লাখ টাকার মাছ লুট করে নেয় ও ঘেরের পাহারাদার জমির মালিকদেরকে প্রকাশ্যে হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকী প্রদান করে। এঘটনায় জমির মালিক আবু বক্কার বাদী হয়ে বিল্লাল, ইকবাল ও সিদ্দিকুর রহমানের নাম উল্লেখ করে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
কেশবপুর থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম মুনজুর রহমান পূর্ব সারুটিয়া ছোট বিলের ৮৫ বিঘা বিশিষ্ট মৎস্য ঘেরটি জমির মালিকদের নিকট থেকে লীজ নিয়ে বিগত ১২ বছর ধরে মাছের চাষাবাদ করে আসছে। ডিডের মেয়াদ শেষ হওয়ায় চলতি বছরের ১লা বৈশাখ হতে আগামী ৫ বছরের জন্য পুনরায় নির্ধারিত হারি মূল্যে সিংহভাগ জমির মালিকদের কাছ থেকে লীজ নিয়ে পুনরায় মাছ চাষ শুরু করেন। কিন্তু সারুটিয়া গ্রামের মৃত মকছেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান, সারুটিয়া গ্রামের বিল্লাল, ইকবালসহ কিছু অসাধু জমির মালিকদের ম্যানেজ করে তার নামে একটি ভুয়া ডিড তৈরি করেন। গত সোমবার সিদ্দিক,রেপ বিল্লাল ও ইকবালের নেতৃত্বে একদল ভাড়াটিয় সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে দিবালোকে চেয়ারম্যান এস এম মুরজুর রহমানের ঘেরে হামলা করে । এসময় তারা তার ঘেরের টোং ঘর ভাংচুর ও ঘেরের পাহারাদারদের মারপিট করে ঘেরের মাছ লুট করে ঘেরটি জবর দখলের চেষ্টা চালায় এবং নিরীহ জমির মালিকদের হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকী প্রদান করে। গত ১৮/০৬/২৪ তারিখ সন্ধায় জমির মালিক সারুটিয়া গ্রামের সফর আলি সরদারের ছেলে আবু বক্কর ও তার চাচাত ভাই জিল্লুর রহমানকে রাস্তায় আটক করে সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে হুমকী দিয়ে বলে যদি চেয়ারম্যানের পক্ষ ঘেরে যাওয়ার চেষ্টা করিশ তাহলে তোদের হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়া হবে। এই ঘটনায় আবু বক্কর বাদী হয়ে গত ১৯ জুন-২৪ তারিখে কেশবপুর থানায় সিদ্দিকুর রহমান,খালেক সরদারের ছেলে রেপ বিল্লাল ও ইকবালের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ঘের মালিক ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম মুনজুর রহমান বলেন দীর্ঘ ১২ বছর সুনামের সাথে উক্ত ঘেরটি পরিচালানা ও যথা সময়ে হরির টাকা পরিশোধ করায় আগামী ৫ বছরের জন্য পুনরায় শতকরা ৮৫ জন জমির মালিকরা আমাকে নতুন করে ঘেরের ডিড করে দেয়। কিন্তু সিদ্দিুর রহমান ডিড জালিয়াতির মাধ্যমে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার ঘেরটি অবৈধভাবে দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এব্যাপারে সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান,আমি কোন ডিড জালিয়াতির আশ্রায় নেয়নি। জমির মালিকদের সাথে নিয়ে ঘের দখলের চেষ্টা করেছি।
এব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল আলম বলেন , ঘের দখলের চেষ্টারঅভিযোগ পেয়েছি যার তদন্তপূর্বক প্রয়োজীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।