কেশবপুরে এনজিও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

কেশবপুর প্রতিনিধি : কেশবপুর উপজেলা মাসিক এনজিও সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভা কক্ষে। কেশবপুর এনজিও কর্মকর্তাদের নিয়ে ১ জানুয়ারি সোমবার বিকেল ৪ টায় এই মিটিং শুরু হয়। এনজিও সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান টি সঞ্চলনা করেন দুঃস্থ শিশু শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থার এনজিও পরিচালক মোঃ হারুনার রশীদ , অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেশবপুর এনজিও সমন্বয় কমিটির সভাপতি কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তুহিন হোসেন। প্রতি মাসের ন্যায় এনজিও কার্যক্রম উপস্থাপন করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশন। কর্মকর্তা ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রতিষ্ঠাতা হযরত খানবাহাদুর আহছানুল্লাহ জীবনী ও সংস্থার কার্যক্রম তুলে ধরেন। হযরত খান বাহাদুর আহছানুল্লাহ শিক্ষা জীবন সমাপ্তির পর তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন। ১৯১২ সালে তিনি ব্রিটিশ ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষা সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত হন। তিনি ছিলেন উপমহাদেশের প্রথম ও একমাত্র ব্যক্তি যিনি তৎকালীন বাংলা ও আসাম সরকারের সহকারি জন শিক্ষা পরিচালক নিযুক্ত হন। তিনি শিক্ষা সংস্কারে অনেক অবদান রাখেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যেক পরীক্ষার খাতায় পরীক্ষার্থীর নাম লেখার রীতি প্রচলন ছিল। অনেকের মতে সাম্প্রদায়িকতা বিদ্যমান থাকায় হিন্দু ও মুসলিম পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পক্ষপাতিত্ব হতো। হযরত খান বাহাদুর আহছানুল্লাহর প্রচেষ্টায় অনার্স ও এম এ পরীক্ষার খাতায় নামের পরিবর্তে রোল নং লেখার রীতি প্রবর্তিত হয়। পরবর্তিতে এম এবং বিএ পরীক্ষার ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর নাম লেখার রীতি রহিত হয়। সে সময় হাইস্কুল ও ইন্টারমিডিয়েট মাদ্রাসা থেকে পাশ করে ছাত্ররা কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেতো না। উক্ত মাদ্রাসা দ্বয়ের শিক্ষার মান উন্নয়ন করেন হযরত খান বাহাদুর আহছানুল্লাহ, ফলে মাদ্রাসা থেকে পাশ করা ছাত্রদের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ সৃষ্টি হয়। তৎকালীন সব স্কুল কলেজে তিনি মৌলবির পদ সৃষ্টি করেন এবং পন্ডিত ও মৌলবির বেতন বৈষম্য রোহিত করে।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের বিভিন্ন কার্যক্রমের অংশ বিশেষ তুলে ধরেন ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন, ভিক্ষুক পুর্নবাসন, শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, সঞ্চয় ও ডিপিএস, বুনিয়াদ ঋন, মৌসুমি ঋন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং ক্ষদ্রঋন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তুহিন হোসেন বলেন কেশবপুর সকল এনজিও কর্মকর্তাগনের সাথে নিয়ে তিনি কাজ করতে চান এবং তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দুঃস্থ শিশু শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক মোঃ হারুনার রশীদ , ব্রাক এনজিও এরিয়া ম্যানেজার মোঃ রবিউল ইসলাম, ওয়ার্ডের পরিচালক সৈয়দ আকমল আলী , মোঃ আসাদুজ্জামান খান এসো বাঁচতে শিখি, আব্দুল্লাহ -নুর-আল আহসান, মধ্যকুল প্রতিবন্ধি উন্নয়ন সংস্থার আব্দুর রহিম, এস আর যুব ও সমাজ কল্যাণ সংস্থার পরিচালক গোলাম কিবরিয়া, কামরুজ্জামান রাজু ফিল্ড অফিসার ভাব, পল্লী মঙ্গল কর্মসূচির বুলবুল ইসলাম, উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেশবপুর এনজিও কর্মকর্তা গন, সুপিয়া পারভীন, মনিরা খানম, সবুরোন নেছা, মোসলেম উদ্দিন, প্রমুখ।