কেশবপুর প্রতিনিধি : যশোরের কেশবপুরে সোনালি আঁশ পাট চাষে ভালো ফলন হওয়ায় স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা। আবহাওয়া অনুকূলে ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছর দাম ভালো পাওয়ায় এবারও কৃষকরা দামের বিষয় আশাবাদী। এবার প্রচন্ড খরা হওয়ায় লক্ষ্য মাত্রার থেকে ২০০ হেক্টর জমিতে কম হয়েছে পাটের আবাদ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরে ৪ হাজার ৯১৮ হেক্টর জমিতে চলতি বছর পাটের আবাদ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ১০০ হেক্টর। গত বছর এ উপজেলায় পাট আবাদ হয়েছিল ৫ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে। এবার রবি-১ জাতের লাল রঙের পাটের আবাদ বেশি করেছেন চাষীরা। এর মধ্যে মজিদপুর, ত্রিমোহিণী, সাতবাড়িয়া, মঙ্গলকোট, হাসানপুর, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন ও কেশবপুর সদর ইউনিয়নে পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি এলাকায় খেত থেকে পাট কাটা শুরু করেছেন কৃষকেরা। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতে পানির কোন সমস্যা না হওয়ায় খাল-বিলে পানি অভাব না থাকায় কৃষকরা বলছে পাট জাগ দিতে কোন সমস্যা নাই এবং পাটের রং ও ভালো হবে।
উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের বাগদহা গ্রামের কৃষক ওলিয়ার রহমান জানান, ‘গত বছর বাজারে পাটের দাম বেশি দেখে এবার প্রথম বার ৪ বিঘা ১০ কাটা জমিতে বীজ বুনেছিলাম। ভালো ফলন হওয়ায় খেতে বিঘা প্রতি ১৬ থেকে ১৭ মণ পাট হতে পারে বলে আশা করছি। গত রোববার থেকে খেতের পাট কাটা শুরু করেছি। পাট আবাদ করতে এ পর্যন্ত ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি মণ পাট ৩ হাজার টাকা করে বিক্রি করতে পারলে ভালোই লাভবান হবেন বলে জানান। তিনি আরও বলেন পর্যাপ্ত পানি থাকায় পাটের রং ভালো হবে আশা করি।
দেউলি গ্রামের কৃষক সায়ফুল ইসলাম বলেন, এবার ৩ বিষা জমিতে লাগানো পাট চাষ করেছি। খেতে পাটের আবাদ ভালো হওয়ায় দাম আগের মতো থাকলে ভালোই লাভ হবে এবার।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, পাটের বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় এ উপজেলার চাষীরা পাট আবাদে ঝুঁকেছেন। অনুকূল আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিগত বছরের ন্যায় এবারও আশা করছি কৃষকরা পাট বিক্রি করে ভালো দাম পাবেন।
কেশবপুরে পাটের বাম্পার ফলন
Leave a comment