কেশবপুর প্রতিনিধি : পৌষের মাঝামাঝি বয়ে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া সেই সঙ্গে শীতের তীব্রতা । জানুয়ারির শুরু থেকেই তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় এ অঞ্চলে বেড়েছে শীতবস্ত্রের চাহিদা। নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো প্রচন্ড শীত থেকে বাঁচার জন্য গরম কাপড় কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ফুটপাত ও খোলা জায়গা দোকানগুলোতে। প্রচন্ড শীত পাশাপাশি শৈত প্রবাহের কারণে ঠক ঠক করে কাঁপছেন উপজেলার খেটে খাওয়া মানুষজন। বয়স্ক শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ফুটপাত ও স্থানীয় মার্কেটগুলোও গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। কেশবপুরের অলিগলিতে শীতের পোশাকের দোকান দিয়ে বসেছেন ভাসমান ব্যবসায়ীরা এসব দোকানে কম দামে বিদেশি গরম কাপড় মিলছে সস্তায়। সকাল থেকে শুরু করে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত থাকে এসব দোকান। অল্প পয়সায় সুন্দর গরম কাপড় দেখে শুনে কিনছেন ক্রেতারা । এছাড়াও প্রতিদিন সোয়েটার,ট্রাউজার, কম্বল, ও শিশু দের পোশাক কম দামে বেচা কেনা হয়। উপজেলার ভাসমান দোকানদার কাওসার আলী বলেন বিভিন্ন পেশার মানুষ আমাদের কাছে শীতের পোশাক কিনতে আসেন। তাদের মধ্যে নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতারা বেশি। সেই সঙ্গে ভ্যানচালক দরিদ্র নারী পুরুষ শীতবস্ত্র কিনছেন। এসব পোশাকের দামের বিষয়ে তিনি বলেন সর্বনিম্ন একশত টাকা থেকে দেড়শ টাকা পর্যন্ত শীতের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে সোয়েটার,টাউজার, জ্যাকেট, মানকি ক্যাপ পায়ের ও হাতের মোজা সহ নানা রকমের শীতের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। একজন ক্রেতা ইলিয়াস হোসেন বলেন সাত সদস্যের পরিবারে আমি একমাত্র উপার্জনক্ষম। তাই কম দামে খোলা বাজারে শীতের পোশাক কিনতে এসেছি শীত যতই বাড়ছে ততই পুরনো কাপড়ে চাহিদা বাড়ছে এখানে কম দামের গরম কাপড় পাওয়া যাচ্ছে তা না হলে আমাদের ঠান্ডায় মরতে হতো। একজন ব্যবসায়ী বলেন পুরানো কাপড় না এলে ও নিম্ন আয়ের মানুষজন চরম বিপাকে পড়তো। জানুয়ারি মাসে শীতের প্রকোপ যথেষ্ট বেড়েছে। তবে এখনোও সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীতার্ত মানুষের জন্য চাহিদা তুলনায় শীত বস্ত্র আসেনি।