
জন্মভূমি রিপোর্ট : আগামী ১২ জুন কেসিসি নির্বাচনে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নিবার্চনী কাজে যুক্ত থাকবেন। আগামী ৩১ মে থেকে তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে।
রোববার (২১ মে) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মে মাসের সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন সভাপতির বক্তব্যে আসন্ন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোকে সকল সুযোগ-সুবিধাসহ নির্বাচনী কাজে ব্যবহার উপযোগী রাখতে জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
সভায় জেলা নির্বাচন অফিসার ফরাজী বেনজীর আহম্মেদ জানান, আসন্ন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নিবার্চনী কাজে যুক্ত থাকবেন। আগামী ৩১ মে থেকে তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তানভীর আহমদ জানান, জেলা পুলিশ বিগত মাসে ৭৯৮টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করেছে। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে জেলা পুলিশ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।
সভায় দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মারুফুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট উপজেলায় সরকারি খাদ্যগুদাম না থাকায় খাদ্য অধিদপ্তরের বোরো ধান সংগ্রহ মৌসুমে সরকারি গুদামে ধান বিক্রিতে কৃষকদের ভোগান্তির বিষয়টি তুলে ধরেন। দিঘলিয়া উপজেলার কৃষকদের দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে ফুলতলা উপজেলা খাদ্যগুদাম পর্যন্ত যেন যেতে না হয়, সেজন্য দিঘলিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সুবিধাজনক স্থানে ধান সংগ্রহের বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপপরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, খুলনা জেলায় এবার বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন, যার বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে দুই লাখ ৮৭ হাজার মেট্রিক টন। চলমান আউশ মৌসুমে জেলার তিন হাজার ৮১৬ হেক্টর জমিতে ধানচাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ধানের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করতে আগামী আমন মৌসুমে জেলার নয় হাজার কৃষককে বীজ ও সার প্রণোদনা হিসেবে বিতরণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, খুলনার কয়রা উপজেলায় সুন্দরবন সংলগ্ন স্থানে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের কাজটি ত্বরান্বিত করা প্রয়োজন। সময়ের সঙ্গে সমাজে অপরাধের ধরন পরিবর্তিত হচ্ছে। মানুষ সচেতন হলে পুলিশের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সহজ হবে।
সভায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এমএম মাহমুদুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কুমার মন্ডল, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার সোনালী সেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।