
জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ৩ মেয়রসহ ১শ ৭৭ জনের মনোয়নপত্র বৈধ ও ৪ মেয়র প্রার্থীসহ ১৮জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন। এর মধ্যে মেয়র পদে ৩ জন, সাধারণ কাইন্সলর পদে ১৩৭ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৭জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। আর বাতিল করা হয় মেয়র পদে ৪ জন, সাধারণ কাইন্সলর পদে ১২ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২ জনের মনোনয়নপত্র। ফলে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মোট ১৭৭ জনের মনোয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে কেসিসি নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই শেষে এ ঘোষণা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা তিন দিনের মধ্যে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করতে পারবেন।
খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে ৭ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে চারজনের মনোয়নপত্র বাতিল করা হয়। মেয়র পদে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও বিদায়ী মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল আউয়াল ও জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম মধু।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীকে সমর্থন করা ৩০০ জন ভোটারের নাম ও তাদের স্বাক্ষর দিতে হয়। কিন্তু স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আল আমিন মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী, এস এম শফিকুর রহমান ও সৈয়দ কামরুল ইসলাম ভোটারদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে জমা দেন। সে কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় জাকের পার্টির প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২ জনের এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে দুইজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ১২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে একজন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে একজন, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে একজন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে একজন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে একজন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে একজন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে একজন, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে একজন ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া সংরক্ষিত আসনের দুই কাউন্সিলর প্রার্থী হলেন- সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডে একজন ও সংরক্ষিত ১০ নম্বর ওয়ার্ডের একজন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, নির্বাচনে ১০জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দ্বায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এছাড়া সকল কেন্দ্রে ইইভএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে।
তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে আগামী ২৬ মে। আর আগামী ১২ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার। ভোট কেন্দ্র ২৮৯টি এবং ভোট কক্ষ থাকবে এক হাজার ৭৩২টি।