মোঃ এজাজ আলী : গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ভ্যাপসা গরমে যেন আগুন ঝরছে। মুহুর্তের মধ্যেই শরীর গলদঘর্ম হয়ে যাচ্ছে। পিপাসায় শুকিয়ে যাচ্ছে গলা,বুক। তারপরও বিরামহীনভাবে চলছে ঘাম ঝরানো প্রচার প্রচারণা। খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা চালাচ্ছেন গনসংযোগ। পাঁচজন মেয়র প্রার্থী দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন পুরো ৩১টি ওয়ার্ড জুড়ে। আর ১৭৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী বারংবার ছুঁটছেন ভোটারদের কাছে। নির্বাচনের দুইদিন বাকি থাকতে মাইকিং, পোষ্টার, লিফলেট ও পথসভার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে ব্যবহার করছেন প্রার্থীরা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পাড়া মহল্লায় প্রার্থীদের নির্বাচনী শ্লোগানে মুখরিত রয়েছে। মাইকে গানের মাধ্যমে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন তারা। প্রার্থীদের পাশাপাশি, তাদের দলীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খীরাও ভোট প্রার্থনার জন্য বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। যদিও গতকাল শুক্রবার দুপুরের পর থেকে কিছুটা স্বস্থির বৃষ্টি নামলেও তাতে ভাটা পড়েনি প্রচার প্রচারণায়। কেসিসির মোট ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৬৪০ জন ভোটারদের মধ্যে এবার প্রথমবার ভোট দিবেন প্রায় ৪২ হাজার নতুন তরুণ ভোটার। নতুন ভোটার আরিফুর রহমান সেতু বলেন, এ বছর জীবনে প্রথম ভোটারহিসাবে ভোট কেন্দ্রে যাবো ভোট দিতে। আনন্দ লাগছে। আজ আমি দেশের নাগরিক হিসাবে ভোটাধিকার পেয়েছি। আগে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অভিজ্ঞতা না থাকায় ব্যালট বাক্স আর ইভিএম দুটি সর্ম্পকে আমার কোনো অভিজ্ঞতা।্ বলতে পারেন আমি নতুন ভোটার হিসাবে ইবিএমে ভোট দিবো, আজ আমি ভোটার হয়েছি। সব সময় কাছে পাওয়া যায় এমন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দিবো। তবে আমি কারো কথায় প্রভাবিত হবো না। নতুন আরেকজন ভোটার আফিফা ইয়াসমিন কাজল বলেন, নতুন ভোটার হয়েছি জীবনে প্রথম বারের মতো, ভোট কেন্দ্রে যাবো। আমার মতে যে ব্যাক্তি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে আমি সেই ব্যাক্তিকে ভোট দিবো। পাশাপাশি যার মধ্যে কোনো দুর্র্নিতী থাকবে না, থাকবে না বৈষম্যমুক্ত তরুণ বান্ধব। কারিগরী শিক্ষার প্রসার ঘটাবে সেই ব্যক্তিকে ভোট দিবো। কেসিসির নির্বচনের রির্টানিং অফিসার মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, এবারে কেসিসি নির্বাচনে মোট ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি কেন্দ্রের ১৭৩২টি বুথে ভোট দেওয়া যাবে। জানা যায়, কেসিসির নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাপার শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), স্বতন্ত্রপ্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়াল ঘড়ি) ও জাকের পার্টির এসএম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল)।