শেখ আব্দুল হামিদ : খুলনা সিটি কর্পোরেশ (কেসিসি) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি মেয়র প্রার্থীরা ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে ২৪ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বেশী প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত রয়েছেন। ওয়ার্ড দু’টিতে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় ইতোমধ্যে দুজনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতরা হলেন, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এসএম খুরশিদ আহম্মেদ টোনা। তাঁরা দুজনই আওয়ামীলীগ নেতা।
নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসার সাথে সাথে গণসংযোগ বেড়েই চলেছে। মেয়র পদের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক, ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুল আউয়াল, জাতীয় পার্টি মনোনীত এসএম শফিকুল ইসলাম মধু ও জাকের পার্টি মনোনীত এসএম সাব্বির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন। রবিবার উচ্চ আদালতের রায়ে নতুন করে প্রচরণায় যুক্ত হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক।
নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূল পর্যায়ের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। সেক্ষেত্রে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভূমিকা থাকে কিছুটা কম। নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিলিপ কুন্ডু বলেন, তাদের মনোনীত প্রার্থী জেড এ মাহমুদ ডন নির্বাচিত হয়েছেন। এখন মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির ক্ষেত্রে চাপ অনেকটা বেড়েছে। চেষ্টা কমে গেলে কেন্দ্রে ভোটার কিছুটা কম যেতে পারে। একই ওয়ার্ডে বসবাসকারী আওয়ামীলীগের একজন কর্মী বলেন, আমার কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হওয়ায় এবার মেয়র পদে ভোটার উপস্থিতির জন্য মরিয়া হয়ে কাজ করছি। ভোটাররাও ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে প্রস্তুত রয়েছেন। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডোর কয়েকজন ভোটারের সাথে আলাপকালে তারা জানান, আমরা কাউন্সিলরকে ভোট দেয়ার জন্য প্রচারণা নিয়ে বেশী ব্যস্ত ছিলাম। এবার মেয়র প্রার্থীর জন্য কাজ করছি। সে ক্ষেত্রে মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা কম হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
নাগরীক নেতা আশরাফ উজ জামান বলেন, ভোটাররা গাজীপুরের নির্বাচন দেখে অনেকটা আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তারা ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে এখন উৎসাহী। ইতোমধ্যে যে দুজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন তাদের উপর এখন ভোটার উপস্থিত করার দায়িত্ব বেশী। কারণ তাদের মধ্যে এখন নিজেদেরকে নিয়ে চিন্তা নেই। যতবেশী ভোটার উপস্থিত করতে পারবেন ততই তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
খুলনার সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট লিয়াকত আলী মোল্যা বলেন, নির্বাচনে তালুকদার আব্দুল খালেক বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। তবে ভোটারদের কেন্দ্রমুখি করে তোলার দায়িত্ব সকল কর্মীদের। ভোটার উপস্থিতি কম হলে ভোটের ব্যবধানও কমে আসতে পারে। অন্য যারা প্রার্থী আছেন তারাও মন-প্রাণ দিয়ে কাজ করছেন। তাদেরও খুলনা শহরে পরিচিতি আছে। তাই ভোটের মাঠে ভোটার উপস্থিতির বিকল্প নেই বলে আমি মনে করি।
খুলনা নাগরীক সমাজ এর সদস্য সচিব এডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, যেহেতু নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল মাঠে নেই। সে ক্ষেত্রে ভোটার উপস্থিতি অতীতের ন্যায় কম হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিএনপি’র অনেক নেতাই কাউন্সিলর পদে লড়ছেন। সেক্ষেত্রে উপস্থিতি কিছুটা বাড়বে।