জন্মভূমি ডেস্ক : ফুটবল দুনিয়ায় যেসব কারণে কোচ বহিষ্কৃত হন, সাবিনাদের অভিযোগের সঙ্গে সে ধরনের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। মাসুরা পারভিন, নীলা, কৃষ্ণা রানী সরকার, শিউলী, রূপনা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমাদের অভিযোগ কোচ পিটার বাটলার খেলোয়াড়দেরকে সম্মান দেন না। নানা অজুহাতে অসম্মান করেন। আর এসব কারণে মাঠে প্রভাব পড়ে। মাসুরা পারভিন জানিয়েছেন, নেপালে সাফে খেলতে গেলে সেখানে হোটেলে খাবার খাওয়ার সময় মাসুরা একটি টুপি মাথায় দিয়ে এসেছেন। কোচ টুপি খুলতে বলেছিলেন। কেন খুলবে তখন কোচ বলেছিলেন, আমি কোচ তোমাকে টুপি খুলতে বলেছি তুমি খুলবে। এ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল সেখানে। মাসুরা নাকি হোটেল রুমে ফিরেই অন্য খেলোয়াড়কে বলেছিলেন কালকের ম্যাচে কোচ আমাকে মাঠে নামাবে না। সত্যি সত্যি ওটাই হয়েছিল।’ ৬টা অভিযোগ লিখে এনেছিলেন খেলোয়াড়রা। সবই খেলা সংক্রান্ত। নেপালের নারী সাফে খেলতে গিয়ে কোচ পিটার কোথায় কোথায় ভুল করেছেন, গেম প্ল্যানে ভুল করেছেন তা তুলে ধরা হয়েছে। নেপালে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরেছে। সাফ থেকে ফিরে কোচ কেন খেলোয়াড়দের নিয়ে বসে সমস্যার সমাধান করেননি। কোচের ইগো সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঋতুপর্ণা চাকমা। নেপালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র হয়। সেই ম্যাচে ৫ খেলোয়াড়ের মধ্যে তিন জন পরিবর্তন করা হয়, দুই জন পরিবর্তন করার অপশন কাজে লাগাতে পারেননি কোচ। পাকিস্তানের বিপক্ষে কৃষ্ণাকে নামানোর আগে তার জার্সি নম্বর জিজ্ঞেস করলে সহকারী কোচ জবাব দেন। দ্বিতীয় বার কোচ কৃষ্ণার জার্সি নম্বর জিজ্ঞাসা করলে তখনো অন্যজন নম্বর বলে দেন। তাতেই কোচ ক্ষেপে যান। খেলোয়াড়েরা বলেন, মাঠের বাইরে প্রতিনিয়ত কোচ তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। আমাদের নিয়ে হাসিঠাট্টা করেন। সিনিয়র জুনিয়রদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেন। মেয়েদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেন। আমাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ করেন কোচ, যা সত্য নয়। সবকিছু জানে সহকারী কোচরা। কিন্তু তারা চাকরি হারানোর ভয়ে মুখ খোলেন না। এ সব জানিয়ে গত বুধবার লিখিত চিঠি দিয়েছে সভাপতির কাছে। জানানো হয়েছে কোচ মানসিকভাবে খেলোয়াড়দের মারাত্মক ক্ষতি করছে।