
জন্মভূমি ডেস্ক : রাতের আঁধারে জমির পেয়ারা ও ঝাল চুরির প্রতিবাদ করায় তবিবর নামে জমির মালিকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।তিনি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর ইউনিয়ন এর কন্যানগরের তোফাজ্জেল হোসেন তোতার ছেলে। তার জমির মাঠ থেকে গত (১৫ই-আগষ্ট) দিবাগত- রাতের যে কোন সময় লক্ষাধিক টাকার পেয়ারা ও ঝাল চুরি হয়েছে। তিনি জানান আগের দিন
সকালে পেয়ারার বাগানে যেয়ে দেখেন পেয়ারা ও ঝাল বাজারজাত করার মত উপযোগী হয়েছে। বিকাল বেলা শ্রমীক ঠিক করেন তবিবর রহমান পেয়ারা বাজারজাত করার জন্য,কিন্তু সকালে পেয়ারার বাগানে যেয়ে দেখেন পেয়ারা ঝাল চুরি হয়ে গেছে, পেয়ারা নেই বাগানে। তখন ছয় জন শ্রমীক নিয়ে তবিবর মাঠ থেকে চলে আসেন।
এলাকা’র কাঁচা মালের বিক্রি পয়েন্টে খুজতে থাকেন নিজ জমির চুরি হওয়া পেয়ারা ও ঝাল। কন্যানগর ঈদগাঁ সংলগ্ন মিঠুর কাঁচা মালের পয়েন্টে যেয়ে দেখতে পায় বেশ কিছু কার্টুন করা পেয়ারা।
তখন মিঠু ও তার সহযোগী জুলহকের নিকট জানতে চাই তবিবর রহমান এতো সকালে কে দিয়ে গেলো এই মাল, এখনো শ্রমীক মাঠে যেতে পারলো না অথচ এতো মাল কে দিয়ে গেলো হয়তো বা,গোটা রাত জেগে এই পেয়ারা বাগান থেকে ছিড়েছে।
তখন মিঠু ও জুলহাক বলে,আমরা কন্যানগরের ইছাহক আলীর নিকট থেকে এই মাল ক্রয় করেছি। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে সঙ্গে সঙ্গে ইছাহক আলী বাড়িতে গিয়ে মিঠুর কাঁচামালের পয়েন্টে পেয়ারা বিক্রি করছে কি জানতে চাইলে ইছাহক আলী বলেন,না আমি বিক্রি করিনি তখন মিঠু ও জুলহাকের নিকট এসে বলা হয় কেমন হলো ইছাহক আলী তো এই মাল বিক্রি করেনি বললো। তাহলে এই পেয়ারা ও ঝাল আসলো কোথা থেকে এই কার্টুন করা পেয়ারা ক্রয় করা হয়েছে তার নাম পরিচয় বলুন।
মিঠু ও জুলহাক নাম পরিচয় না দিতে চাইলে গ্রামের কয়েকজন কে অবগত করান তবিবর রহমান। এরই একপর্যায়ে মিঠু ও জুলহাক এর সাথে দ্বন্দ্বের সুত্রপাত হয় তবিবরের।
একই দিন রাতে চায়ের দোকান থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে মুসার দোকান এর সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওতপেতে থাকা মিঠু (২৯) পিতা মৃত হোসেন ও জুলহাক (২২) পিতা খলিল একই গ্রাম কন্যানগর আকস্মিকভাবে গাছ-কাটা দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে, রক্তাক্ত জখম অবস্থায় চিৎকার শুনে স্থানীয়’রা উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।