জন্মভূমি রিপোর্ট : ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার রেল লাইন, রাস্তাঘাট, কৃষিজমি ও বাড়ির আঙ্গিনায় ভয়ংকর বিষাক্ত পার্থেনিয়াম গাছে সয়লাব হয়ে আছে। সচেনতার অভাব এবং এ আগাছাটি সম্পর্কে স্পষ্ট কোন ধারণা না থাকার কারণে বহুবিধ রোগে ভুগছেন মানুষ ও গবাদিপশু। এমন বিষাক্ত গাছ সম্পর্কে সরকারের তরফ থেকে নেই কোন জনসচেনতা বা প্রচারনা। অথচ আমাদের সকলের জানা উচিৎ এ বিষাক্ত গাছটি সম্পর্কে। রাস্তার পাশে বা কৃষি জমিতে হঠাৎ দেখলে বড় আকারের ধনেগাছের মত মনে হতে পারে। গাছটির উচ্চতা দুই থেকে তিন ফুট। চিকন সবুজ পাতার ফাঁকে ছোট ছোট সাদা ফুলে আকর্ষণীয় দেখায় গাছগুলোকে। ত্রিভুজের মতো ছড়িয়ে থাকে অসংখ্য ডালপালা। বাড়ির আঙিনা, রাস্তার দুই ধার কিংবা ফসলের মাঠে জন্মানো এই গাছ হতে পারে মৃত্যুর কারণ। দেখতে সুন্দর হলেও ছোট ছোট এই গাছ অত্যন্ত ভয়ংকর। দেশের বিভিন্ন এলাকায় মতই কোটচাঁদপুরে কৃষি জমির আইল, পরিত্যক্ত কৃষি ও অকৃষি জমিতে ছড়িয়ে পড়া এই উদ্ভিদের নামই হচ্ছে পার্থেনিয়াম। এ গাছটি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রাজিবুল হাসান এর কাছে। তিনি জানান পার্থেনিয়াম গাছটি সত্যি খুবই মারাত্মক ক্ষতিকর গাছ, যা মানুষ ও গবাদিপশুর জন্য হুমকি। তিনি প্রতিকারের জন্য পরামর্শ দেন ১ লিটার পানিতে ১০০ গ্রাম লবন মিশিয়ে স্প্রে করলে এ গাছ মারা যায়। তবে কৃষি জমিতে এমনটি করা যাবেনা তাতে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। বাড়ির আঙ্গিনায় ও রাস্তার পাশের গাছ নিধন করতে এমনটি করতে হবে। এ বিষয়ে কথা বলা হয় কোটচাঁদপুর উপজেলা পশু হাসপাতালের ডাঃ মোঃ জিল্লুর রহমানের সাথে। তিনি জানান এটি মূলত বিষাক্ত এক আগ্রাসী আগাছা। গরু বা ছাগলে খেয়ে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়ে অসুস্থ বা মারাও যেতে পারে। এটি গায়ে লাগলে হতে পারে দুরারোগ্য চর্মরোগ। ফুলের রেনু শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করলে হতে পারে শ্বাসকষ্ট। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি জটিল হয়ে মৃত্যুর কারণও হতে পারে। কোটচাঁদপুর ব্লাড ব্যাংকের উদ্যোগে কিছু কিছু এলাকায় এ গাছ নিধনে কর্মসূচি করলেও তা যথেষ্ট নয়। তাই ভয়ংকর বিষাক্ত গাছটি সম্পর্কে সচেনতা বৃদ্ধির করা এবং সরকারি উদ্যোগে গাছটি নিধন করা সময়ের দাবী বলে মনে করেন সূধীমহল।