
ডেস্ক রিপোর্ট : জুলাই জাতীয় সনদে ৮৪টি দফা আছে। কিছু দফায় বিএনপি একমত, কিছু দফার সঠিক উপস্থাপন হয়নি বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, কোনো সনদই সংবিধানের ঊর্ধ্বে নয়।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) গুলশানের নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, খসড়ায় কিছু অসামঞ্জস্য ও ভিন্নমত থাকলেও তা আইনগতভাবে সমাধান করা সম্ভব। তার মতে, সংবিধানের ঊর্ধ্বে কোনো সমঝোতা দলিল স্থান পেতে পারে না, কারণ তা হলে ভবিষ্যতের জন্য খারাপ নজির তৈরি হবে।
তিনি বলেন, জুলাই সনদের ৮৪টি প্রস্তাবনার মধ্যে অনেকগুলোতেই রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে। তবে ১৫টি বিষয়ে বিভিন্ন দল নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে, যার মধ্যে বিএনপি দিয়েছে ১০টি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ঐকমত্যের জায়গাগুলো কীভাবে বাস্তবায়িত হবে সেটিই এখন জরুরি। আর যেসব বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে তারও সমাধান সম্ভব।”
সালাহউদ্দিন আহমদ সতর্ক করে বলেন, “জুলাই সনদ সংবিধানের ওপর স্থান পেলে তা হবে বিপজ্জনক নজির। কোনো ডকুমেন্টই সংবিধানের ঊর্ধ্বে হতে পারে না।” তিনি মনে করেন, খসড়ায় উল্লেখিত কিছু প্রস্তাব অধ্যাদেশ বা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তবে যেসব প্রস্তাব সংবিধান সংশোধনের দাবি রাখে, সেগুলো নির্বাচিত সংসদকে তাদের মেয়াদের প্রথম দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কথা ছিল, যা নতুন খসড়ায় অনুপস্থিত।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গেও বিএনপির এই শীর্ষ নেতা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছেন, কমিশনের প্রস্তুতিও প্রায় শেষ। তাই ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এ নিয়ে বিএনপির কোনো সংশয় নেই।”
বিএনপির পক্ষ থেকে ২০ আগস্ট জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে আনুষ্ঠানিক মতামত জমা দেওয়া হবে এবং ২৫ আগস্ট থেকে আলোচনায় যোগ দেবে দলটি। সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, বিএনপি জুলাই সনদের কিছু বিষয়ে নমনীয় হতে পারে, বিশেষ করে সংসদের উচ্চকক্ষের পিআর পদ্ধতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের মতো প্রস্তাবে সমঝোতার সুযোগ রয়েছে।