জন্মভূমি ডেস্ক
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দোকানপাট, শপিংমলসহ সবধরনের কেনাকাটার ক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে সবার প্রতি আহŸান জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
তিনি বলেন, দোকানদার ও ক্রেতা উভয়কে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে করণীয় সম্পর্কে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহŸান জানান। সভায় সকল পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, কেনাকাটার ক্ষেত্রে দোকানদার এবং ক্রেতা উভয়কে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। দোকান বা শপিংমলের প্রবেশপথে স্যানিটাইজার বা হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
শপিংমলে প্রবেশকালে অবশ্যই শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কোনও দোকানে বেশি লোকের প্রবেশ নিরুৎসাহিত করতে হবে। বড় বড় দোকানের ক্ষেত্রে ক্রেতার অবস্থান গোল চিহ্ন দিয়ে নির্দিষ্ট করে রাখতে হবে।
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সারা দেশে সকল দোকানপাট ও শপিংমলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য ব্যবসায়ী, দোকান মালিক এবং ক্রেতা সাধারণের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, আমরা সবাই সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে চললে করোনা সংক্রমণ কমবে, মৃত্যুর হারও কমবে। চলমান করোনাকালে জীবন চালাতে হবে, আবার জীবিকাও চালাতে হবে। এর মধ্যে সমন্বয় করে আমাদের চলতে হবে।
এ সময় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, প্রতিটি মার্কেটের সামনে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা অথবা স্যানিটাইজারের আয়োজন রাখা হয়েছে এবং শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা হয়েছে। বড় বড় শপিংমলে জীবাণুনাশক টানেল বসানো হয়েছে।
সভায় অতিরিক্ত আইজি (এএন্ডও) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত আইজি (অর্থ) এস এম রুহুল আমিন, অতিরিক্ত আইজি (এইচআরএম) মো. মাজহারুল ইসলাম, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।