অভিজিৎ পাল
তালুকদার আব্দুল খালেক। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বার বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন রামপাল-মোংলা থেকে ৪ বার। ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র। ২০১৮ সালে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে।
সহধর্মিনী হাবিবুন নাহার রামপাল মোংলা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বেশ কয়েকবার। বর্তমানে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জনগণের সেবাই তাদের একমাত্র ধ্যান ও জ্ঞান। তালুকদার আব্দুল খালেক তার জীবনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দক্ষতার ও কর্মতৎপরতার পরিচয় দিয়েছেন। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে তার কাজ প্রশংসা কুড়িয়েছে সর্বমহলে। সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতাও তাকে জনগণের সেবা থেকে ফেরাতে পারে না। অসুস্থ শরীরে নিজের চিকিৎসার কথা চিন্তা না করে জুন মাসে কর্পোরেশনের আর্থিক হিসাব ক্লোজ করেছেন তিনি। তার পর ঢাকায় দীর্ঘ দেড় মাসের বেশি সময় নিয়ে চিকিৎসা শেষে চিকিৎসকের বিশ্রামের উপদেশ উপেক্ষা করে লুঙ্গি পড়ে নগরীর উন্নয়ন কাজসহ সকল কাজ তদারকি করছেন। এই শ্রম যাদের সেবায় দিচ্ছেন তাদের বিষয়ে তার বক্তব্য, প্রতিটি নাগরিককে তার নিজ নিজ এলাকার উন্নয়ন কাজ তদারকি করতে হবে। যাতে করে কেউ কোন অনিয়ম করে পার না পায়। আমারা চাইলেই আমাদের নগরীকে তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত করতে পারবো।
তালুকদার আব্দুল খালেকের এই কর্মস্পৃহাকে সাধুবাদ জানান নাগরিক নেতা। এ বিষয়ে নাগরিক নেতা কুদরতই খুদা বলেন, তালুকদার আব্দুল খালেক তার কর্মগুণে এগিয়ে সকলের থেকে। কিন্তু তার একার কর্মতৎপরতায় দীর্ঘদিনে এই ময়লা পরিষ্কার করে তিলোত্তমা নগরী গড়া সম্ভব নয়। এ জন্য কেসিসির পুরো টিমকে আরো তৎপর হতে হবে।
রাজনৈতিকভাবে তালুকদার আব্দুল খালেক, ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করেছেন। ছিলেন সিটি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা। করেছেন শ্রমিক লীগের রাজনীতি। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ এ্যাডঃ মঞ্জরুল ইমামের সাথে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন সফলতার সাথে। বার বার দায়িত্ব পালন করেছেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে। রাজনীতির পোড় খাওয়া এই মানুষটি তার কর্মীদের নিকটও জনপ্রিয়। তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, আমি গালি গালাজ করি তাদের, যারা তাদের কাজ সঠিক সময়ে করে না। যাদের কাজের জন্য নগরীর সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ে। আমি কষ্ট করে টাকা এনে দেব সরকার ও বিদেশী সংস্থার কাছ থেকে। তা কিছু মানুষের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ভেস্তে যাবে। তা হতে দিতে পারি না। উন্নয়ন কাজে অনিয়ম হলে নগরবাসীর ক্ষতি হবে। এটা দেখে আমি তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে পারি না। কারন তাদের কাজ জনগণের ভোগান্তি বাড়ায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বদনাম করে।
ক্লান্তিহীন তালুকদার আব্দুল খালেক
Leave a comment