
সমবায় অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ
জন্মভূমি রিপোর্ট : তথ্য গোপন করে খানজাহান আলী রোড ক্ষুদ্র শিল্প ও ব্যাবসায়ী মালিক সমিতি লি: এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শেখ আব্দুল রাব্বী (রিপন)। এ বিষয়ে সমবায় অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে অপর প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন মানিক।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, শেখ আব্দুল রাব্বী (রিপন) খানজাহান আলী রোড ক্ষুদ্র শিল্প ও ব্যাবসায়ী মালিক সমিতি লি: এর বিগত কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। এ সময় তিনি সমিতি থেকে এক লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। যার ৩৬ কিস্তির মধ্যে মাত্র ৬ কিস্তি টাকা পরিশোধ করেন। আর ত্রিশ কিস্তির টাকা পরিশোধ না করে সময় পার হওয়ার পরও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য থাকায় তথ্য গোপন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন ও বিজয়ী হন। যা সমবায় বিধি মালার ১৯(ঙ) ও ২৪(৩) ধারা অনুযায়ী অবৈধ। নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে অপর প্রার্থী মোঃ মিঠু আকনও তথ্য গোপন করে ঋণ খেলাপি অবস্থায় নির্বাচনে অবৈধভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনিও সমিতি থেকে ১ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেছেন। যার মাত্র চার কিস্তি তিনি পরিশোধ করেছেন। যার মেয়াদ শেষ হয়েছে নির্বাচনের আগে চলতি বছরের ১০ জুলাই।
এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন মানিক বলেন, তার প্রতিদ্বন্দী তথ্য গোপন করে অবৈধভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন ও বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনের আগে ও পরে ঋণ খেলাপী ছিলেন তিনি এই তথ্যটা গোপন করার চেষ্টা করছেন তিনি। এর প্রতিকার চেয়ে আমি সমবায় অধিদপ্তরে নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে শেখ আব্দুল রাব্বী (রিপন) বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। সমিতি কোন টাকা পাবে না। তিনি সকল টাকা পরিশোধ করেছেন। আমি সমিতি থেকে ১ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছি গত বছর। এই লোনের মেয়াদ এ বছরের সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। আমার কিস্তি বাদ থাকলেও আমি আমার মেয়াদকালের মধ্যে সকল টাকা পরিশোধ করেছি। তিনি যে ঋণ খেলাপি এটি তাকে সমিতি থেকে নির্বাচনের আগে বা পরে কখনও নোটিশ করা হয়নি।
সমিতির কোষাধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মমিনুর বলেন, শেখ আব্দুল রাব্বী (রিপন) ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর সমিতি থেকে ঋণ গ্রহণ করেছেন। যার ৪৬ কিস্তির মাত্র ৬ কিস্তির টাকা তিনি দিয়েছেন তিনি। তার কাছে সমিতির পাওনা ৯৩ হাজার ৪৪০ টাকা। যার মেয়াদ চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তিনি বলেন, দশ পনেরো দিন আগে বিলম্ব কিস্তি প্রদানের কারণে জরিমানাসহ শেখ আব্দুল রাব্বী (রিপন) ঋণ পরিশোধ করেছেন।
সমিতির সভাপতি সোলাইমান হোসেন দুলাল বলেন, নির্বাচনের আগে তারা বর্তমান নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ঋণ খেলাপি হয়ে যে নির্বাচন করেছেন এটি জানতে পারেননি। পরে দায়িত্ব গ্রহণের পর সকল কাগজপত্র দেখ তারাও যানতে পেরেছেন যে নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সমিতির কাছে ঋণ খেলাপি অবস্থায় নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছেন। যা তাদের সমিতির ও সমবায় বিধিমালা লঙ্ঘন করেছে বলে জানান তিনি।
জেলা সমবায় কর্মকর্তা সৈয়দ জসীম উদ্দিন জানান, তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। শুনানীতে সকল পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আইনানুগভাবে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।