জন্মভূমি রিপোর্ট
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম স্থাপনা হযরত খান জাহান আলী সেতু বা রুপসা সেতু। এই সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সড়ক যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে। এই সেতু ও সেতুর সড়ক নির্মাণ হওয়ার পরে খুলনা মহানগরী আবাসিক এলাকা বাড়ছে দ্রæতগতিতে। কিন্তু সেতু সড়কের ডিভাইডার ক্রসিংয়ের ফাঁকা জায়গা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচলের দুর্ভোগ বেড়েছে।
হযরত খান জাহান আলী সেতু বা রুপসা সেতু নির্মাণের ফলে সেতুর পশ্চিম পাশের সড়ককে কেন্দ্র করে খুলনা মহানগরীর আবাসিক এলকা বাড়ছে দ্রæত গতিতে। নগরীর নিরালা, হরিণটানা, মোহাম্মদ নগর, টুটপাড়া এলাকার দক্ষিণ পাশের কৃষি জমিতে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্থশত আবাসিক এলাকা। একই অবস্থা বটিয়াঘাটা উপজেলার সাচিবুনিয়া, মোহাম্মাদনগর, ওয়াজেদনগর সহ অর্ধ শত আবাসিক এলাকার মানুষদের।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রূপসা বাইপাস সড়কের রোড ডিভাইডারটি যেন জনভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে। জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ দুর্ঘটনা রোধে এ ডিভাইডারটি নির্মাণ করলেও মাঝে কোন ফাকা না থাকায় সেটি এখন দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এ নিয়ে সড়ক ও জনপথ বরাবর অভিযোগ করেছে গ্রামবাসী। অপরদিকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সড়ক নিয়ে কাজ করে যাওয়া নিরাপদ সড়ক চাইর খুলনা মহানগর শাখা।
এরই মধ্যে গত কয়েকদিনে দুর্ঘটনা ঘটেছে এ ডিভাইডারের কারণে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন একজন। আহত হয়েছে অগনিত।
গ্রামবাসী জানায়, রূপা ফিলিং স্টেশনের পাশবর্তী ডিভাইডারে ফাঁকা রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি ঘন ঘন লোহার পাইপ পুতে ফাকাটি বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে রাস্তা পারাপার কঠিন হয়ে পড়ছে। ফলে কয়েকহাজার গ্রামবাসী নানা দুর্ভোগের শিকার। প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা, ঝুকিতে এলাকাবাসী।
স্থানীয় মোঃ রফিকুল ইসলাম জানায়, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে রোড ডিভাইডার করা হলেও এ পদক্ষেপে উল্টো সড়ক দূর্ঘটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি অনতিবিলম্বে রোড ডিভাইডারের মাঝ রোড ক্রসিং এর ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ করেন।
রুবেল হোসেন বলেন, রোড ডিভাইডারের মাঝে ফাকা না থাকায় আমাদের রং সাইড দিয়ে রাস্তা চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে ঝুকি নিয়েই চলতে হচ্ছে আমাদের।
তিনি আরও বলেন, দূর্ঘটনা রোধে রোড ডিভাইডার করা হলেও দুর্ঘটনা ঠেকানো যাচ্ছে না। এটি এখন দুর্ঘটনা রোধ না করে উল্টো মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসি।
নিরাপদ সড়ক চাইএর খুলনা মহানগর সভাপতি এইচএম ইকবাল হোসেন বিপ্লব বলেন, সড়ক ও জনপথ খুলনায় যে সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেগুলো সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস না করে উল্টো জন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রূপসা বাইপাস সড়ক ও শেরে বাংলা রোড সহ অধিকাংশ কার্যক্রম অপরিকল্পিত। তিনি এ সময় পরিকল্পিত নগরায়ন করতে সড়কও জনপথ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
এ নিয়ে খুলনা সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুজ্জামান মাসুদ বলেন, খুলনা ক্রমেই সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে চলছে। দুর্ঘটনা রোধে রোড ডিভাইডারের মাঝে থাকা ফাকা জায়গা পূরণ করে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সাধারণ মানুষ এ নিয়ে একটি আবেদন করেছে। জনস্বার্থে হলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
খানজাহান আলী সেতু সড়কে ডিভাইডারে ফাঁকা না থাকায় জনভোগান্তি
Leave a comment