
জন্মভূমি ডেস্ক : রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালীসহ তিনজনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিমান্ড যাওয়া অপর দুই আসামি হলেন- মো. রিয়াজ হোসেন এবং মো. উজ্জল মিয়া। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই অনিক ভক্ত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ২৯ অক্টোবর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সরকারি ও জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন করে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে তাদের নেতা কর্মীরা পরিস্থান পরিবহনের বাসে আগুন লাগিয়ে দেয়।
বাসে থাকা যাত্রীরা দিগবেদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। বাসের যাত্রী, পথচারী ও স্থানীয় লোকজন বিএনপি এবং সেটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের আটক করার জন্য ধাওয়া করলে তারা বিভিন্ন অলিগলিতে দৌড়ে পালিয়ে যান। আসামিরা নাশকতা সৃষ্টিসহ পূর্বপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করার লক্ষ্যে সরকারি ও জনগণের সম্পদ ধ্বংস এবং সাধারণ জনমনে সৃষ্টি জানমালের ক্ষতি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন।
রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, রাস্তাঘাটে চলাচলের যানবাহনসহ গুরুত্বপূর্ণ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিচালনার লক্ষ্যে আসামিরা ঘটনাস্থলে ধংসাত্মক ও ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড করে পালিয়ে যান।
আরও বলা হয়, আসামিরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং সেটির অঙ্গ সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক, সংগঠক ও সক্রিয় সদস্য মর্মে জানা যায়। রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা বানচাল করার লক্ষ্যে জনসাধারণের সম্পদ ক্ষতি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, যানবাহনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানোর লক্ষ্যে নাশকতার পরিকল্পনা করেন তারা।
এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, শাকিল আহমেদ রিপনসহ আরও অনেকেই রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের রিমান্ডের আদেশ দেন। মোহাম্মদপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর এশারত আলী রিমান্ডের তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ২১ নভেম্বর দুপুর ২টার দিকে মোহাম্মদপুর থেকে আতাউর ররহমান ঢালীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। তবে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে হাজির না হওয়ায় তা পিছিয়ে ২৬ নভেম্বর ধার্য করা হয়।