
বিজ্ঞপ্তি : পরিকল্পিতভাবে লুটেরা সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে সকল দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, গত ১৫ বছর যাবৎ ফ্যাসিবাদী সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে জোর করে ক্ষমতা আঁকড়ে বসে আছে। পাক হানাদার বাহিনীর মতো মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করে, গুম-হত্যা করে, মানুষের স্বাধীনতার আকাক্সক্ষাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
বুধবার (১৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন, মাদার অব ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়ার ৭৯তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর রোগমুক্তি ও আশুসুস্থতা কামনা এবং চলমান আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে উল্লেখ করে, এড. মনা আরো বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একজন সাধারণ নেত্রী নন, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি সারাটা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন এবং নিজের জীবনকেও গড়ে তুলেছেন গণতান্ত্রিকভাবে। সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রেখেছে। বিএনপির ৪০লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, ৬‘শর ওপরে নেতাকর্মীকে গুম করেছে, সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে লড়াই করছেন তা গণতন্ত্রের জন্য। দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য। এই লড়াই চূড়ান্ত পর্যায়ে না যাওয়া পর্যন্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করার আহবান জানান।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সাহারুজ্জামান মোর্তজা, আমীর এজাজ খান, এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী, তরিকুল ইসলাম জহির, আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী জুলু, স ম আ. রহমান, এস এ রহমান বাবুল, অ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, মো. রকিব মল্লিক, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, শেখ তৈয়বুর রহমান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম খান নান্নু, শামীম কবীর, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদি, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, এনামুল হক সজল, কে এম হুমায়ন কবির. হাফিজুর রহমান মনি, শেখ জাহিদুল ইসলাম, আবু মো. মুরশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, এহতেশামুল হক শাওন, আব্দুল মান্নান খান, আ. রাজ্জাক, তানভিরুল আজম, শাহিনুল ইসলাম পাখি, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, খায়রুল ইসলাম খান জনি, একরামুল কবীর মিল্টন, নাজির উদ্দিন নান্নু, অ্যাড. মো. আলী বাবু, শেখ জামাল উদ্দিন, আফসার উদ্দিন, নাসির খান, আব্দুস সালাম, মনিরুজ্জামান লেলিন, খন্দকার ফারুক হোসেন, আলমগীর হোসেন, কাজী শাহ নেওয়াজ নিরু, আব্দুর রহমান ডিনো, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, মো. জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, তানভীর উল আজম রুম্মান, ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান, মাসুদ খান বাদল, রাহাত আলী খান লাচ্্্্চু, গাজী আবদুল হালিম, জাফরি নেওয়াজ চন্দন, শামসুল বারিক পান্না. সরদার শফিকুল আমিন লাভলু ,এমদাদ হোসেন ,মো. আব্দুল ওহাব, মোঃ শাহ জালাল আসাদুজ্জামান আসাদ, সিরাজুল ইসলাম লিটন, কে এম মাহবুবুল আলম, মাহবুব উল্লাহ শামীম, যুবদলের কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম ,সাইফুল ইসলাম সান্টু, আব্দুল আজিজ সুমন, ছাত্রদলের আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, সাইফুল ইসলাম খান, মো. ইবাদুল ইসলাম, মো. হাসান ফকির, সৈয়দ ইমরান, সাজ্জাদ হোসেন জিতু, তাঁতি দলের আবু সাঈদ শেখ, মেহেদী হাসান মিন্টু, মাহমুদ আলম লোটাস, মহিলা দলের এ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিকুল ইসলাম শাহিন, আতাউর রহমান রনু, কৃষক দলের আক্তারুজ্জামান তালুকদার সজীব, মোল্লা কবির হোসেন, শেখ আবু সাইদ, মৎস্যজীবী দলের শেখ হেমায়েত হোসেন, জাসাসের আজাদ আমিন প্রমূখ। আলোচনা শেষে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু ও্র রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন ওলামা দলের নেতা মাওলানা ফারুক হোসেন।