চলতি বছরের মধ্যেই খুবির একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত হবে : উপাচার্য
বিজ্ঞপ্তি : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর উদ্যোগে ‘কমপ্লায়েন্স অব কেইউ মাস্টার্স অর্ডিনেন্স উইথ ওবিই এন্ড অ্যাক্রেডিটেশন রিকয়ারমেন্টস’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯.১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
তিনি বলেন, চলতি বছরের মধ্যেই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মিশন-ভিশনের সাথে মিল রেখে একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান এবং এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে অর্গানোগ্রাম তৈরি হবে। এখানে একটির সাথে আরেকটি সম্পর্কযুক্ত। তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এক্সিলেন্স অর্জন করতে হলে বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড ও ক্রাইটেরিয়া অর্জন করতে হবে। আমাদের গ্র্যাজুয়েটদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অ্যাক্রেডিটেশন নিয়ে ভাবা উচিত। অ্যাক্রেডিটেশনের জন্য ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের রিপোর্ট পেলে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের অ্যাক্রেডিটেশনের জন্য আবেদন করা হবে। অ্যাক্রেডিটেশনের জন্য নিজেদেরকেও প্রস্তুত করতে হবে। একাডেমিক কারিকুলা ও গবেষণায় গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য সাবজেক্ট সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরির উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং ফিল্ড ওয়ার্কের বাজেট বাড়ানো হয়েছে।
উপাচার্য বলেন, সময়ের সাথে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাও বেড়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাও সহজ হয়ে পড়েছে। এটি এখন আমাদের জন্য স্থানীয় ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। এ জন্য আমাদের এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আগ্রহী হয়। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় পর আমরা মাস্টার্সের অর্ডিনেন্স পেয়েছি। এটি একটি গতিশীল প্রক্রিয়া। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই অর্ডিনেন্স শিক্ষকদের মাঝে পরিচিত হবে এবং অর্ডিনেন্সে আর কি কি করণীয় সে বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য উঠে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি এ ধরনের প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য আইকিউএসির পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মতিউল ইসলাম। আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. জগদীশ চন্দ্র জোয়ারদার, নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. আশিক উর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রিসোর্স পারসন হিসেবে আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার, অতিরিক্ত পরিচালকবৃন্দ প্রফেসর ড. মো. মতিউল ইসলাম, প্রফেসর ড. জগদীশ চন্দ্র জোয়ারদার, মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. আশিক উর রহমান বিভিন্ন বিষয়ে টেকনিক্যাল সেশন পরিচালনা করেন। এ প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯টি ডিসিপ্লিনের ১৪৭ জন শিক্ষক ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ বিভাগ, একাডেমিক এবং আইসিটি সেলের ২০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।