খুবি প্রতিনিধি: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আদিবাসী ছাত্রকল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের বাংলা ডিসিপ্লিনের নাটমণ্ডপে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম। এ সময় তিনি বলেন, শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় একটি উত্তম জায়গা। এখানে ছাত্ররাজনীতি না থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো ধরনের হানাহানি-রক্তপাতের ঘটনা ইতোপূর্বে ঘটেনি। ফলে সকল শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে শিক্ষা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে মনোনিবেশ করতে পারছে।
তিনি আরও বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাগুরু কিংবা সংখ্যালঘু বলে কোনো কথা নেই, সকলেই সমান। আদিবাসীরা দেশের সম্পদ। তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি কিছুটা ভিন্ন হলেও তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বড় পরিসরে এসে সকলের সাথে খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারছে। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের বেশকিছু খেলোয়াড় আদিবাসী। তাদের হাত ধরে ফুটবলে আমরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে পারছি। আমি মনে করি, শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়ে তোমাদেরও উচিত নিজেদের প্রমাণ করা। যাতে তোমাদের মধ্যে নেতৃত্বদানের সক্ষমতা তৈরি এবং তোমাদের মাধ্যমে দেশ ও জাতির সুনাম আরও উজ্জ্বল হয়।
উপাচার্য নবাগত আদিবাসী শিক্ষার্থীদের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বরণ করে নেওয়ার জন্য এ ধরনের একটি ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান আয়োজন করায় আদিবাসী ছাত্রকল্যাণ সংস্থাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। পরে তিনি নবাগত শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেন।
সংস্থার সভাপতি তেমিয় চাকমা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক মো. হাসান মাহমুদ এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক আবুল বাশার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পুষ্পা চাকমা ও রেশমি চাকমা।
অনুষ্ঠানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে অধ্যয়নরত আদিবাসী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে নবীনবরণ উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।