স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গবেষণা ও উদ্ভাবনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : উপাচার্য
বিজ্ঞপ্তি : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৩-২৪ এর আওতাধীন ই-গর্ভন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের উদ্ভাবনী আইডিয়াসমূহ নিয়ে আজ ০৩ এপ্রিল (বুধবার) ডিএসএ ভবনের তৃতীয় তলায় ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১.৩০ মিনিটে প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে এর উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। উদ্বোধনের পর তিনি প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া উদ্ভাবনী আইডিয়াসমূহ ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবকদের সাথে কথা বলেন। এ সময় তিনি তাদের উদ্ভাবন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করেন।
পরে সেখানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গবেষণা ও উদ্ভাবনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্মার্ট সিটিজেন ও শিক্ষার্থীদের স্মার্ট ক্যারিয়ার তৈরির দিকে নজর দিতে হবে। শুধুমাত্র রিসার্চ পেপারে না রেখে গবেষণার ফল যাতে মানুষের কল্যাণে আসে সেক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবন ও গবেষণা পরিচালনা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উৎসাহ, আনন্দ ও সম্ভাবনার দিন। আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অবস্থানে দেখতে চাই, সে অবস্থানে যেতে এই ধরনের ইনোভেশন শোকেসিংয়ের ভূমিকা অত্যন্ত ফলপ্রসূ। এই প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া উদ্ভাবনী আইডিয়াসমূহ বাংলাদেশের গবেষণার প্রেক্ষাপটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো আমাদের অভিভূত করার পাশাপাশি মাল্টি ডিসিপ্লিনারি গবেষণায় আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।
আগামীতে বড় পরিসরে এ ইনোভেশন শোকেসিং আয়োজন এবং প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া উদ্ভাবনী আইডিয়াসমূহে ফান্ডিংয়ের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। একই সাথে ইনোভেশন শোকেসিংয়ে অংশ নেওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও এপিএ টিম লিডার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংশ্লিষ্ট কমিটির ফোকাল পয়েন্ট ও আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী মাসুদুল আলম।
এ সময় চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. নিহার রঞ্জন সিংহ, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আবু শামীম মোহাম্মদ আরিফ, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন, গবেষণা ও উদ্ভাবনী কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাজী দিদারুল ইসলামসহ বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএ কমিটির আওতাধীন ই-গর্ভন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কমিটি আয়োজিত এ ইনোভেশন শোকেসিংয়ে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের ২২টি উদ্ভাবনী আইডিয়া স্থান পায়।